মাদারীপুর শিবচরে পদ্মা নদীতে শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি নৌরুটে লৌহজং টার্নিংয়ে যাত্রীবোঝাই এমভি সুরভী ও এমভি আশিক নামে দুটি লঞ্চের সঙ্গে একটি ফেরির সংর্ঘষ হয়েছে। এতে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান নৌযানগুলোর ৩ শতাধিক যাত্রী।

রবিবার (১৮ আগস্ট) রাতে লৌহজং টার্নিংয়ে ডাম্ব ফেরি রায়পুরার সঙ্গে এমভি আশিক নামে লঞ্চের ধাক্কা লাগে।

প্রত্যক্ষদর্শী যাত্রী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ সময় ফেরির লঞ্চটির দুজন যাত্রী নদীতে পড়ে যান। তবে যাত্রী ও লঞ্চ কর্তৃপক্ষের দাবি- পড়ে যাওয়া দুই যাত্রীকেই সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে।

এর কিছুক্ষণ পর আবার একটু সামনে এলে এমভি সুরভী নামে আরেকটি লঞ্চ ফেরির ডান দিক থেকে বাম দিকে ক্রসিং করতে গিয়ে ফেরির সঙ্গে ধাক্কা লাগে।

ঈদের ছুটি শেষে ঢাকাগামী যাত্রীদের নিয়ে লঞ্চ দুটি কাঠালবাড়ি ঘাট থেকে শিমুলিয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। ডাম্ব ফেরির চালক হারুন অর রশিদ জানান, শিমুলিয়া থেকে ছেড়ে টার্নিং পয়েন্টে আসার কিছুক্ষণ পরই রং সাইড থেকে আসা একটি লঞ্চ আমার ফেরির পেছনের অংশে ধাক্কা দেয়।

তিনি জানান, এতে লঞ্চটির সামান্য ক্ষতি হয়। কিছুক্ষণ পর একটু সামনে এলে এমভি সুরভী নামে আরেকটি লঞ্চ আমার ফেরির ডান দিক থেকে বাম দিকে ক্রসিং করতে গেলে ফেরির সঙ্গে লঞ্চটির ধাক্কা লাগে। কিন্তু লঞ্চ দুটি অক্ষতভাবে যাত্রী নিয়ে আবার শিমুলিয়া প্রান্তে পৌঁছে বলে দাবি করেন ফেরির মাস্টার।

কাঠালবাড়ি ঘাট লঞ্চ মালিক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি তোতা মিয়া হাওলাদার জানান, কাঠালবাড়ি ঘাট থেকে দুটি লঞ্চ রবিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে শিমুলিয়া ঘাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল।

লৌহজং টার্নিং পয়েন্টের কাছে এসে বিপরীত থেকে আসা ডাম্প ফেরির সঙ্গে ধাক্কা লাগলে একটি লঞ্চের আংশিক ক্ষতি হয়। কিন্তু এমভি আশিক লঞ্চটি ফেরির ধাক্কায় চরের ওপর উঠে যায়। পরে অপর একটি লঞ্চ এসে যাত্রীদের উদ্ধার করে শিমুলিয়া ঘাটে পৌঁছে দেয়।

তিনি দাবি করেন, অদক্ষ মাস্টার ফেরিটি চালানোর কারণেই মাত্র ২০মিনিটের ব্যবধানে একই চ্যানেলে পরপর দুটি লঞ্চের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় দুটি লঞ্চের ৩ শতাধিক যাত্রী। সোমবার (১৯ আগস্ট) আলোচনা করে প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া যায় কিনা সেটা দেখব।

বিআইডব্লিউটিএ ঘাটালবাড়ী ঘাট ম্যানেজার আব্দুস সালাম জানান, অসাবধানতার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

বিবার্তা/রবিউল হাসান/রবি