বিতর্ক, জন বক্তৃতায় অংশগ্রহণের উপর জোর দিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেছেন, একবিংশ শতাব্দী হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তির যুগ। তথ্য ও প্রযুক্তিই আগামীকে শাসনকরবে। সুতরাং এ বিষয়ে আমাদের শিক্ষার্থীদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। এ ক্ষেত্রে টিম ওয়ার্ক আমাদের কাজের গতিকে দারুনভাবে ত্বরান্বিত করতে পারে।
শনিবার বিকেলে যশোর বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) ছায়া জাতিসংঘ সমিতির (জাস্টমুনা) চার দিনব্যাপী ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী এ কথা বলেন।
অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, শ্রেণি কক্ষের বাইরের কর্মকাণ্ডও আমাদের অনেক কিছু শেখাতে পারে। ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলনের মতো অনুষ্ঠানে প্রত্যেকের নানা মানুষের সাথে পরিচয় ঘটে, আন্তব্যক্তিক যোগাযোগ হয়, একত্রে কাজ করার সুযোগ পাওয়া যায়। শিক্ষার্থীরা শিখতে পারে, সংঘাত বা যুদ্ধ দিয়ে নয় কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমেও যেকোনো কঠিন সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয়।
কূটনৈতিক, আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক অঙ্গন, জাতিসংঘসহ সমকালীন নানা বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের লক্ষ্যে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) ১৭ জুলাই থেকে চার দিনব্যাপী ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন শুরু হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মীর মোশাররফ হোসেন, যবিপ্রবি ছায়া জাতিসংঘ সমিতির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ নওশীন আমিন শেখ, পৃষ্ঠপোষক ও ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক আল ওয়ালিদ, সম্মেলনের মহাসচিব তামান্না আফরোজ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, যবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. নাজমুল হাসান, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জাফিরুল ইসলাম, ড. নাসিম রেজা, যবিপ্রবি ছায়া জাতিসংঘ সমিতির উপমহাসচিব জারজিস রহমান, মহাপরিচালক শামিল এরফান তুহিন, সহকারী মহাসচিব শুভাশীষ দে, এস এম তানভীর আজম, নাজমুস সাকিব প্রমুখ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কম্পিউটার প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের শিক্ষার্থী তরিকুল ইসলাম। সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ী ডেলিগেটদের ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দিয়ে বিশেষ সম্মাননা জানানো হয়।
ছায়া জাতিসংঘ একটি সহশিক্ষা কার্যক্রম যাতে শিক্ষার্থীরা জাতিসংঘ এবং জাতিসংঘের আদলে সাজানো কমিটিগুলোতে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি হিসেবে অংশগ্রহণ করে থাকেন। ছায়া জাতিসংঘ ২০১৯-এর সম্মেলনে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ, আন্তর্জাতিক প্রেস, বাংলাদেশ বিষয়ক বিশেষ কমিটি, আরব লীগ, জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল অন্তর্ভুক্ত ছিল। দেশের ৩৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে নানা বয়সী ১২০ জন ডেলিগেট এবং নির্বাহী বডির সদস্যসহ মোট ১৪০ জন অংশগ্রহণ করেন।
বিবার্তা/বিজ্ঞপ্তি/তাওহীদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]