
ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যার ঘটনায় আরো দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার রাঙামাটি ও কুমিল্লা পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- এমরান হোসেন মামুন ও পরিকল্পনাকারী রানা।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর চট্টগ্রাম মেট্রো অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মঈনউদ্দিন জানান, শনিবার ভোর রাতে রাঙামাটি সদরের টিঅ্যান্ডটি আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে রানাকে গ্রেফতার করা হয়।
সোনাগাজীর চরগণেশ এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে রানা ওই হত্যাকাণ্ডের পর পালিয়ে রাঙামাটি চলে গিয়েছিলেন বলে জানান তিনি।
গ্রেফতার রানা নুসরাত হত্যাকাণ্ডে পরিকল্পনাকারীদের একজন বলে জানিয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে কুমিল্লার পদুয়ার বাজার এলাকা থেকে এমরান হোসেন মামুনকে পুলিশ আটক করেছে বলে দাবি করেছেন তার মা নুর নাহার বেগম।
এমরানের বাড়ি সোনাগাজীর চর গণেশ এলাকায়। তবে এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন পিবিআই-এর পরিদর্শক শাহ আলম।
গত ৬ এপ্রিল ওই মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষার কেন্দ্রে গেলে ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায় মুখোশধারীরা। এর আগে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে করা শ্লীলতাহানির মামলা প্রত্যাহারের জন্য নুসরাতকে চাপ দেয় তারা।
পরে আগুনে ঝলসে যাওয়া নুসরাতকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল রাতে নুসরাত মারা যান।
শ্লীলতাহানির মামলায় আগে থেকেই কারাবন্দী ছিলেন সিরাজ উদদৌলা। এ ঘটনার পর হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারীসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অনেকে রিমান্ডে রয়েছেন। তাদের দেয়া জবানবন্দিতেও বেশ কয়েকজনের নাম এসেছে।
বিবার্তা/শান্ত/জহির
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]