পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের জন্য বিদেশি সাহায্য আগের তুলনায় এখন কমে গেছে। তাদের থাকা-খাওয়া নিয়ে সরকার ভীষণভাবে চিন্তিত।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে রোহিঙ্গা ইস্যুতে তিনি এসব কথা বলেন। শুক্রবার ৩৫টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও সাতটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে চায়ের দেশ হিসেবে পরিচিত শ্রীমঙ্গলে যান মন্ত্রী।
এ সময় তাদের স্থানীয় মনিপুরি নৃত্যে ও ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়। পরে তারা বিভিন্ন চা-বাগান ও আদিবাসী পাড়াসহ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ঘুরে দেখেন।
প্রতিনিধিদের মধ্যে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ভারত, স্পেন, ফ্রান্স, নিউজিল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিশরসহ ৩৫টি দেশের রাষ্টদূত ও তাদের পরিবারে সদস্যরা রয়েছেন।
আব্দুল মোমেন বলেন, বর্ষা মৌসুমে বাংলাদেশের পাহাড়ী এলাকাগুলোতে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটে। বিভিন্ন সময় ভূমিধস হয়। এ কারণে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ আবাসন নিয়ে দুশ্চিন্তা আরো বাড়ছে। তাই রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে ফেরত পাঠানো এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা যাতে নিজেদের দেশে ফেরত যায় সে ব্যাপারে আমরা সব ধরনের তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছি। রোহিঙ্গারা নির্ধারিত এলাকা ছেড়ে যাতে অন্য কোথাও না যায় সে ব্যবস্থাও নিচ্ছে সরকার।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা শিশুদের বাংলা শিখিয়ে তো লাভ নেই, একদিন তো তারা নিজেদের দেশ মিয়ানমারে ফিরে যাবে। সেখানে তারা তাদের নিজেদের ভাষায় শিক্ষিত হবে।
৩৫টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও সাতটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে এই ভ্রমণের কারণে এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ অপরূপ সুন্দর একটি দেশ। ঢাকায় বসে এই সৌন্দর্য অনুমান করা যায় না। তাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ৩৫ দেশের রাষ্ট্রদূত ও সাতটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিদের এই নৈসর্গিক এলাকায় নিয়ে এসেছি। আর তা দেখেও তারাও অভিভূত হয়েছেন।
বিবার্তা/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]