কুষ্টিয়া শহরের একটি ছাত্রাবাসে মধ্যরাতে লুবাব হোসেন (২০) নামে এক পলিটেকনিক শিক্ষার্থীর মৃত্যুকে ঘিরে তৈরি হয়েছে রহস্য। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে কালিশংকরপুর এলাকার বাঁধন ছাত্রাবাসে এ ঘটনা ঘটে।

রুমমেটের ভাষ্যমতে, ঘুমের মধ্যে অস্বাভাবিক চিৎকারের পর লুবাবকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। দায়িত্বরত চিকিৎসক হাসপাতালের স্লিপে সাইনোসেড বডি উল্লেখ করেছেন। তবে পুলিশ বলছে শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এমন মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা উঠেছে। লুবাব কুষ্টিয়ার দর্পণ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তার বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলায় এবং খন্দকবাড়য়িা গ্রামের শফিউল ইসলামে ছেলে।

পুলিশ ও ছাত্রাবাসের ছাত্ররা জানায়, লুবাব ও অনিক নামে এক ছাত্র ওই ছাত্রাবাসের একই রুমে থাকতো। প্রতিদিনের মতো রাত ১১টার দিকে দু’জন ঘুমিয়ে পড়ে। রাত ১২ টার দিকে লুবাবের অস্বাভাবিক চিৎকারে অনিকের ঘুম ভেঙ্গে যায়। এ সময় লুবাবকে অস্বাভাবিক অঙ্গভঙ্গি করতে দেখে সে ভয় পেয়ে ছাত্রবাসে থাকা অন্য ছাত্রদের ডাক দেয়। সবাই মিলে লুবাবের মাথায় পানি দেয়। এরপরেও লুবাবের স্বাভাবিক হওয়ার কোন লক্ষণ না দেখলে কয়েককজন মিলে দ্রুত তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. হোসেন ইমাম বলেন, বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হতে পারে।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন বলেন, মৃতদেহে কোন আঘাতের চিহ্ন নেই। ময়নাতদন্ত রির্পোট হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।

বিবার্তা/শরীফুল/এসএস