
পঞ্চগড়ের সদর উপজেলার রত্নীবাড়ি শিংরোড সীমান্ত দিয়ে ১৭ জন ও একই উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের ঘাগড়া বিওপি ক্যাম্পের বড়বাড়ি সীমান্ত দিয়ে ৯ জন বাংলাদেশীকে পুশইন করেন ভারতীয় বিএসএফ। পরে তাদের আটক করে বিজিবি পঞ্চগড় সদর থানায় সোপর্দ করে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (৩ জুন) ভোরে পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের বড়বাড়ি সীমান্ত দিয়ে পুশইন করা ৯ জনকে আটক করে গ্রাম পুলিশের সদস্যরা। পরে তাদের ঘাগড়া বিওপি ক্যাম্পের সদস্যদের হাতে তুলে দেয়া হয়। অন্যদিকে চাকলাহাট ইউনিয়নের ক্ষণিয়াপাড়া সীমান্ত দিয়ে পুশইন করা ১৭ জনকে আটক করে শিংরোড বিওপি ক্যাম্পের সদস্যরা। পরে বিজিবি মোট ২৬ জনকে পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ২৬ জনের মধ্যে ৮ পুরুষ, ৯ জন নারী ও ৯ জন শিশু রয়েছে। আটককৃতরা ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে ভারতের হরিয়ানায় কাজ করতেন। সম্প্রতি তাদের আটক করে পুলিশ বাগডোগরা বিমানবন্দরে এনে বিএসএফ সদস্যদের হাতে তুলে দেয়। বিএসএফ রাতের আঁধারে তাদের বাংলাদেশে পুশইন করে। আটককৃতদের বাড়ি কুড়িগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় জানা গেছে।
সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লা হিল জামান বলেন, বিজিবি আমাদের কাছে ২৬ জনকে হস্তান্তর করেছে। এদের মধ্যে আট জন পুরুষ, ৯ জন নারী এবং ৯ জন শিশু। প্রশাসনের সাথে কথা বলে আপাতত তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশে নাগরিক কিনা আমরা যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। বাংলাদেশি নাগরিক হলে যত দ্রুত সম্ভব তাদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে তাদেরকে নিরাপদে নিজ নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। এদের মধ্যে যদি কেউ অন্য কোন দেশের নাগরিক বা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী থেকে থাকে, সেক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাম্প্রতিক সময়ে জেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে পুশ-ইনের ঘটনা ঘটছে। এর আগে তিন দফায় ১১ জন, ২১ জন এবং দুইজন করে মোট ৩৪ জনকে জেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে পুশইন করে বিএসএফ। সর্বশেষ৷ আজ মঙ্গলবার ২৬ জনসহ চতুর্থ দফায় নারী, শিশুসহ মোট ৬০ জনকে জেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে জোর করে পাঠালো বিএসএফ।।
বিবার্তা/বিপ্লব/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]