
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, দেশে একটি নির্বাচন খুব জরুরি হয়ে পড়েছে। নির্বাচন যদি আমরা না করাইতে পারি, তাহলে আমরা যে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি, আমাদের টার্গেট, উদ্দেশ্য নষ্ট হয়ে যাবে।
শুক্রবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর পৌর ১১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মী সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
এ্যানি বলেন, সবার মধ্যে একটা জাতীয় ঐক্য গঠন করতে হবে। ঐক্যের মাধ্যমে যে কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদেরকে টার্গেট পয়েন্টে পৌঁছাতে হবে। যেন আমরা একটা ভালো বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ যেন এই প্রজন্মের জন্য সুন্দর হয়। এটাই আমাদের উদ্দেশ্য। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমাদের যেগুলো করণীয়, এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো গণতন্ত্রের ভীতকে শক্তিশালী করা। গণতন্ত্রের ভীত শক্তিশালী করতে হলে সুদৃঢ় ঐক্যের উপর আমাদেরকে থাকতে হবে। এই ঐক্যটা আমার এবং আপনাদের মধ্যে সৃষ্টি করতে হবে। এ সুদৃঢ় ঐক্যটা ইস্পাত-কঠিন-দৃঢ়তার মধ্য দিয়ে করতে হবে। আমরা আমাদের মধ্যে এমন একটা শক্ত অবস্থানে পৌঁছাতে পারি, যেখানে তারেক রহমানের হাত শক্তিশালী হয়, যেখানে খালেদা জিয়ার হাত শক্তিশালী হয়। খালেদা জিয়া আজকে নাই, তিনি দেশের বাহিরে। তিনি শীঘ্রই আসবে। উনার উপর এত অত্যাচার হয়েছে, উনার উপর এত নির্যাতন হয়েছে, ওনার সুস্থতার জন্য দোয়া করবেন।
এ্যানি বলেন, আমাদেরকে বৃহত্তর স্বার্থের জন্য বেশি চিন্তা করতে হবে। ক্ষুদ্র স্বার্থ নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে যদি কথাবার্তা বেশি হয়, ভূলও বেশি হয়। ঐক্যে ভাঙন ধরবে। ঐক্যে ভাঙন ধরলে কিন্তু এই সুযোগটা আবার ওরা নিবে। পরাজিত শক্তি, ফ্যাশিবাদি শক্তি সে সুযোগটা তারা যেন না নিতে পারে, বৃহত্তর স্বার্থ আমাদেরকে চিন্তা করতে হবে। সামান্য জিনিসের ভুল ধরার দরকার নেই।
বিএনপি নেতা এ্যানি আরও বলেন, আজকে অনেকে বলেন- আওয়ামী লীগ যদি নিষিদ্ধ করে দিতে পারি। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে হলে একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে করতে হবে। হঠাৎ করে আমি বলে দিলাম আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হয়ে গেল, জামায়াতকেও তো নিষিদ্ধ করছে, কিন্তু আসলে কি নিষিদ্ধ করতে পারছে? ঐরকম নিষিদ্ধের দরকার নেই। এমন একটা নিষিদ্ধের অবস্থানে আনতে হবে, যেখানে সকল রাজনৈতিক দল একটা টেবিলে বসবে। সে টেবিলে বসার আগে সরকারের দায়িত্ব হলো আওয়ামী লীগ সে হত্যা করছে, গুম করছে, অত্যাচার করছে, নির্যাতন করছে, যেভাবে দুঃশাসন করছে, দুর্নীতি করছে- এগুলোর বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত করা। বিচার প্রক্রিয়াটা যদি খুব দ্রুত করতে পারি তাহলে হাসিনার বিচার হয়ে গেল। হাসিনার পরিবারের বিচার হয়ে গেল। হাসিনার দোসর যারা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ছিল, লুটপাট করছে, বিভিন্ন নেতা যারা বিভিন্ন ইউনিয়নে, থানায়, ওয়ার্ডে, জেলায়, কেন্দ্রে বিভিন্ন জায়গার দুঃশাসন কায়েম করছিলো, তাদের বিচার প্রক্রিয়াটা হয়ে যেত। এমনিতেই তো আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ হয়ে যায়। তারপরে নিষিদ্ধদের পাশাপাশি, বিচার প্রক্রিয়ার পাশাপাশি জাতীয় ঐক্যমত সরকারের নেতৃত্বে যদি আলোচনার ভিত্তিতে হয়, পরবর্তী পার্লামেন্টে আমরা ইচ্ছে করলে সে কাজগুলো সমাধান করে নিয়ে আসতে পারব। এজন্য নির্বাচনটা জরুরি, দেশে একটা স্থিতিশীলতা আসার জন্য।
১১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক মাকছুদুর রহমান আলমগীরের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব সাহেদ আলম ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, বিএনপি নেতা নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া, মাঈন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান লিটন, জেলা কৃষকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাছির আলম মিশন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আরিফ মাহমুদ কাজল প্রমুখ।
বিবার্তা/সুমন/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]