পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনতাইয়ের অভিযোগ
প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৫, ১৯:২৩
পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনতাইয়ের অভিযোগ
রাজবাড়ী প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

রাজবাড়ীর পাংশায় হামলা ও লুটপাট মামলায় মো. জহিরুল আলম (মুরাদ) বিশ্বাসসহ তিন বিএনপি নেতাকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনতাই করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যদিও পুলিশ অস্বীকার করেছে।


মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার পাট্টা পুরাতন বাজার থেকে পুলিশকে অস্ত্র দেখিয়ে আসামি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এসময় আসামি ছিনতাই কারীরা দুই মোটরসাইকেল আরোহী কে মারপিটে করে।


ছিনতাই হওয়া আসামি মো. জহিরুল আলম (মুরাদ) বিশ্বাস পাট্টা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি।এছাড়াও জিয়া সাইভার ফোর্স-এর রাজবাড়ী জেলা কমিটির তথ্য ও প্রচার সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন এবং ইউনিয়ন বিএনপির যুবদলের এক সদস্য।


ছিনতাইকারীদের মারপিটে আহতরা হলেন, পাট্টা ইউনিয়নের মাঝাইল গ্রামের হেকমত আলী বিশ্বাসের ছেলে মো: মিজান ও পরশ উল্লার ছেলে আব্দুল লতিফ।


ঘটনা সূত্রে জানা যায়, সকালে পুলিশ পাট্টা বাহেরমোড় বাজার থেকে ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. জহিরুল আলম (মুরাদ) বিশ্বাসকে গাড়িতে করে থানায় নেওয়ার পথে পাট্টা পুরাতন বাজার বাঁধার সম্মুখীন হয়। এসময় পুলিশের উপর স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা চড়াও হলে জিয়া সাইভার ফোর্স এর রাজবাড়ী জেলা কমিটির তথ্য ও প্রচার সম্পাদক মো: ইকবাল হোসেন ও এক যুবদলের এক সদস্য কে ও পুলিশ গাড়িতে তুলতে যায়।এসময় মো. ইকবাল হোসেন তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে গিয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। পরে পুলিশ থানায় ফিরে গেলে আসামি ছিনতাইকারীরা দুই মোটরসাইকেল আরোহীকে মারপিট করে। এ ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় আতংক বিরাজ করছে।


মোটরসাইকেল আরোহী মিজান বলেন, আমি পাংশা সাব-রেজিস্টার অফিসে কাজ করি। প্রতিদিনের মতো বাড়ি থেকে পাংশা যাওয়ার পথে পাট্টা পুরাতন বাজারের কাছে গেলে দেখি পুলিশের গাড়ি থেকে মুরাদ বিশ্বাস কে জোর করে নামিয়ে নিচ্ছে লোকজন। এসময় তাদের হাতে থাকা এলজি ও কাঠের হাতলের বন্ধুক দিয়ে আমাদের উপর হামলা করে। কি কারণে আপনাদের উপর হামলা করা হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, পাট্টা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিক ও পাট্টা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আকিদুল বিশ্বাস আমার চাচা হওয়ায় আমাকে মুরাদ বিশ্বাসের লোকজন মারপিট করেছে।


পাট্টা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. জহিরুল আলম (মুরাদ) বিশ্বাস ছিনতাইয়ের ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, বাজারের একটি ঘটনা কে কেন্দ্র করে পুলিশ সকালে আসে। এসময় পুলিশ জিয়া সাইভার ফোর্স এর সদস্য মো. ইকবাল হোসেন ও ইউনিয়ন বিএনপির যুবদলের এক সদস্যকে গাড়িতে করে থানায় নিয়ে যেতে গেলে বিপত্তি বাঁধে। আমি পুলিশকে তাদের থানায় নেওয়ার বিষয় জানতে চাইলে আমাকে থানায় নিয়ে যেতে চায়। এসময় স্থানীয় জনগণ উত্তেজিত হলে পুলিশ থানায় ফিরে যায়।


দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মারপিটের বিষয় জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে বলেন, আমাকে ফাঁসানোর জন্য আমার প্রতিপক্ষরা এই নাটক সাজিয়েছে।


পাট্টা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আকিদুল বিশ্বাস বলেন, পুলিশ কে অস্ত্র দেখিয়ে আসামি মুরাদ বিশ্বাসকে ছিনতাই করা হয়েছে। এসময় পুলিশের সামনেই আমার দুইজন লোক কে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে মারপিট করা হয়েছে। পুলিশের সামনে সাধারণ মানুষকে অস্ত্র দিয়ে মারপিট করা এটা দুঃখজনক।


পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন আসামি ছিনতাইয়ের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, পুলিশ সকালে পাট্টায় গিয়েছিলো। তবে তারা কোন আসামি গ্রেফতার করে নাই।


দুই মোটরসাইকেল আরোহীকে মারপিটের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনা জানতে পেরেছি। তবে কেউ লিখত অভিযোগ দেয় নাই।অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


বিবার্তা/মিঠুন/এসএস

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com