টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ধলাপাড়া ইউএনও ভূমি কর্মকর্তা সেলিম রেজার বিরুদ্ধে নামজারি ও দাখিলার নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, ধলাপাড়া হাটে টাকার বিনিময়ে খোলা দোকানে বেড়া
দেওয়া, সচ্ছল পরিবারকে উৎকোচের বিনিময়ে খাস জমি বন্দোবস্ত, সেবা গ্রহীতাদের সাথে অসদাচারণসহ নানা অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয়রা জানায়, ১ মাস হলো ধলাপাড়া ভূমি অফিসে যোগদান করেন ভূমি উপসহকারী (নায়েব) সেলিম রেজা। যোগদানের পরপরই ভূমি অফিসকে গড়ে তুলেন ঘুষ-দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য। ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ হয় না এ ভূমি অফিসে। বনের জায়গায় মুরগি ফার্ম, দোকানপাট, বাজারে খোলা দোকানগুলোতে টাকার বিনিময়ে বেড়া দেওয়ার অনুমতি প্রদান করায় এলাকার মানুষ তারপ্রতি অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।

এছাড়াও ছুটির দিনে তিনি অফিস খুলে ভূমি অফিসের অবৈধ কাজ সম্পাদন করে থাকে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, নতুন নায়েব সাব ঘুষ ছাড়া কিছুই বুঝে না। খারিজ করতে টাকা নেয় ঠিক আছে। সামান্য কাজও টাকা ছাড়া করে না। এছাড়াও পাহাড়ের লালমাটি কাটাদের সাথে সখ্যতা করে তিনি লাখ-লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শনিবার ছুটির দিনে দুপুরে ওই নায়েবের এক আত্মীয় কম্পিউটার নিয়ে বসে রয়েছেন। অফিস সহকারী পিয়ন আমিনুল ইসলাম লেজার বহি নিয়ে দাখিলা কাটছে। পাশেই রয়েছে একাধিক দালাল প্রকৃতির লোক। ঢুকতে কথা হয় নায়েব সেলিম রেজার সাথে অপরিচিত থাকায় তার কাছে জানতে চাইলাম নায়েবসাব আসছে কিনা। পরিচয় লুকিয়ে তিনি বললেন ছুটির দিনে নায়েব অফিসে আসবে কেন বলে বেরিয়ে যান।

অফিসে গিয়ে দেখা মিলে মামলার প্রতিবেদন নিতে আসা এক ব্যক্তির সাথে। কথা হয় তার সাথে তিনি বলেন নায়েব সাব তাকে বন্ধের দিন অফিসে আসতে বলেছে এজন্য তিনি শনিবারে অফিসে আসছেন।

অফিস সহকারী আমিনুল ইসলামের সাথে ছুটির দিনে অফিসে কাজ করছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কিছু বলতে পারবো না স্যারের সাথে কথা বলেন। পরে নায়েবসাবের চেয়ারে বসা দেখে জানতে চাওয়া হয় আপনি কেন পরিচয় লুকালেন।

ধলাপাড়া ইউনিয়ন ভূমি উপসহারী কর্মকর্তা (নায়েব) সেলিম রেজার নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছুটির দিনে ভূমি সহকারী কর্মকর্তার অনুমতি নিয়েই অফিস খুলেছি। টাকার বিনিময়ে বাজারে দোকান ঘরে বেড়া দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।

এ বিষয়ে ঘাটাইল উপজেলা সহকারী কর্মকর্তা (ভূমি) সাবরিন আক্তার মুঠোফোনে বলেন, অতিরিক্ত কাজ থাকায় ছুটির দিনে অফিস খোলা থাকে। এছাড়াও দালালের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

বিবার্তা/বাবু/এমবি