চবিতে ৫ দিনব্যাপী বইমেলা শুরু
প্রকাশ : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৫:২৬
চবিতে ৫ দিনব্যাপী বইমেলা শুরু
চবি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

'বই হোক আনন্দ ও সচেতনতার উপকরণ, বইমেলায় সবাইকে আমন্ত্রণ' প্রতিপাদ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) পাঁচ দিনব্যাপী একুশে বইমেলা শুরু হয়েছে। যা চলবে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।


রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় বইমেলার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার।


এবার বইমেলায় ৩০টি স্টলে জাতীয়, আঞ্চলিক, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর প্রকাশনার বই রয়েছে। মেলা চলবে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত।


বইমেলা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক ড. মো. শামীম উদ্দিন খান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার, বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন ও সাবেক চাকসু ভিপি এস এম ফজলুর হক উপস্থিত ছিলেন।


প্রধান অতিথির বক্তব্যে চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, বইমেলায় আসা গল্পগুজব করা এবং বই হাতে নিয়ে নেড়েচেড়ে দেখাও বইমেলার একটি অংশ। প্রতিবছর বই প্রকাশিত হচ্ছে। আমাদের সম্মানিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বই লিখছেন। তবে আমি পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি, বইমেলায় মানসম্মত বইয়ের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে। সম্প্রতি বাংলা অ্যাকাডেমির জরিপে দেখা গেছে, এক বইমেলায় প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশ মানসম্মত। বাকি ৯০ শতাংশ বইয়ে ঠিকমতো এডিটিং নেই, বিষয়বস্তু নেই এবং থিম নেই। এজন্য আমি বাংলা অ্যাকাডেমির বিশৃঙ্খলাকে দায়ী করবো।


বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, একুশকে স্মরণে রেখেই জাতীয় পর্যায়ে বইমেলার যাত্রা শুরু হয়। এরপর থেকেই আস্তে আস্তে এটি বিকেন্দ্রীকরণ হয়েছে। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বইমেলা হচ্ছে। বইমেলার মাধ্যমে পাঠকদেরকে ভিতরে আগ্রহ করে তোলা। এই বইয়ের মাধ্যমে চিন্তা ও মননশীলতার বিকাশ ঘটবে।


মেলায় প্রকাশনা স্টল দেয়া রাষ্ট্রচিনার প্রকাশনীর বই নিয়ে বসে রাষ্ট্রচিন্তা চবি শাখা। রাষ্ট্রচিন্তা চবি শাখার সভাপতি এসবি ফররুখ হোসেন রিফু বলেন, এটি অবশ্যই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। আমি মনে করি এ ধরনের বইমেলা বছরে ৩বার হওয়া উচিত।


মেলায় ঘুরতে আসা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাফওয়ান বলেন, বইমেলা শুধু একটা মেলা না। আমাদের চিন্তা মননশীলতার ধারকও বটে। আমরা জাতি হিসেবে বই বিমুখতা। আমরা সিস্টেমে জাঁতাকলে পড়ে বইয়ের কাছে যেতে পারি না। বইমেলাগুলো শহরে হয় তখন আমাদের বই মেলায় অংশগ্রহণ করা কঠিন হয়। এজন্য ক্যাম্পাসে বইমেলা হওয়া আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য ভালো দিক। বই মেলায় আসলেও বই কিনতে হবে বিষয়টি এমন না।


মেলা ঘুরে বিভিন্ন সংগঠন ও প্রকাশনীর স্টল দেখতে পাওয়া যায়। বাতিঘর প্রকাশনী, রাষ্ট্রচিন্তা প্রকাশনী, ছাত্রশিবিরের আইসিএস পাবলিকেশন্স, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জুম্ম শিক্ষার্থী পরিবার, ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড, প্রথমা প্রকাশন, অনুশীলন প্রকাশনী, তৃতীয় চোখ প্রকাশন ও ছোট কাগজ, সাহিত্য বিচিত্রা প্রকাশনা, আপন আলো প্রকাশনা, বলাকা প্রকাশনী, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী-গোষ্ঠী, রঁদেভু প্রকাশনা পর্ষদ, কথাপ্রকাশ, স্টুডেন্ট অ্যালায়েন্স ফর ডেমোক্রেসি, মুনলাইট প্রকাশন, হাওলাদার প্রকাশনী, , স্বাধীন প্রকাশন, নন্দন বইঘর, চন্দ্রবিন্দু প্রকাশন, অক্ষরবৃত্ত ও আলোকধারা প্রকাশনীর স্টল দেখতে পাওয়া যায়।


বিবার্তা/মহসিন/এমবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com