
লিটারে ৮ টাকা বাড়িয়ে বোতলজাত ও খোলা সয়াবিন তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও চুয়াডাঙ্গার বাজারে সয়াবিন তেলের বাজারে নৈরাজ্য চলছে।
অধিকাংশ দোকানে মিলছেনা বোতলের সয়াবিন তেল। দুই একটি দোকানে বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া গেলেও তার দাম সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়েও বেশি। আর খোলা সয়াবিন তেল পাওয়া গেলেও তা বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা কেজি দরে।
বোতলজাত তেলের সংকটে ক্রেতারা ঝুঁকেছেন খোলা সয়াবিন তেলে। এ সুযোগে ১৫০ টাকার তেল এখন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। তেল কিনতে গিয়ে দামের কাছে নাজেহাল হতে হচ্ছে ভোক্তাদের।
সাধারণ ভোক্তাদের দাবি, ব্যবসায়ীদের কাছে তারা এক প্রকার জিম্মি হয়ে পড়েছেন। কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো হাঁকাচ্ছেন দাম। যা রীতিমতো অন্যায়।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, পুষ্টি কোম্পানির কিছু তেল ছাড়া আর অন্য কোনো কোম্পানির তেল সরবরাহ নেই বাজারে। বোতলজাত তেল কোম্পানি সরবরাহ করছে না। কী কারণে তেল সরবরাহ করছে না তাও পরিস্কারভাবে জানায় নি কোম্পানিগুলো।
ব্যবসায়ীদের একটি সূত্র বলছে, খোলা সয়াবিন তেল ডিলাররা দাম বাড়াচ্ছে যার প্রভাব পড়ছে খুচরা ব্যবসায়ীদের ওপর। তবে বাজারে তেলের অবৈধ মজুদ নেই। কয়েক দিনের মধ্যে তেলের দাম স্বাভাবিক হতে পারে।
রইসুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, বাজারের এক লিটার তেলের বোতল কিনতে গিয়ে সারা বাজার ঘুরে পেলাম এক দোকানে। সেটা আবার আগের দামের থেকে ১০ টাকা বাড়তি।
আল মামুন নামে আরেকজন ক্রেতা বলেন, হঠাৎ তেলের বাজারের নৈরাজ্যের কী কারণ সেটা প্রশাসনের খুঁজে দেখা উচিত। নিয়মিত মনিটরিং ও বাজার ব্যবস্থাপনা শক্ত হতে হবে। না হলে নৈরাজ্য আরও বাড়বে।
চুয়াডাঙ্গার বাজার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, বাজারে সয়াবিন তেলের পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় দাম বেশি। তবে ব্যবসায়ীরা যদি কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে তেল মজুদ করে বা বাজারে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিবার্তা/আসিম/জেএইচ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]