
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ৫ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এ নিয়ে এখন ১৪ জন বিজিপি সদস্য বিজিবির হেফাজতে রয়েছে।
রবিবার (১৪ এপ্রিল) রাত ১১টার পরে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং খারাংখালী এবং ঝিমংখালী সীমান্ত দিয়ে অস্ত্র ও গ্রেনেডসহ তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। তাদের আপাতত হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অনুপ্রবেশ করা ৫ জনের মধ্যে একজন গুলিবিদ্ধ রয়েছেন। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে দুদিনে অনুপ্রবেশ করা বিজিপি সদস্যের সংখ্যা এখন ১৪ জন।
স্থানীয়রা বলেন, রাতে মিয়ানমারের বলিবাজার এলাকার ৭ বিজিপি ক্যাম্পের ৫ বিজিপি সদস্য আত্মরক্ষার্থে অনুপ্রবেশ করেছে। তবে তারা বিজিবি হেফাজতে রয়েছে বলে শুনেছি।
টেকনাফ ব্যাটালিয়ন-২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহাম্মদ জানান, বিজিবি সদস্যরা সীমান্তে দায়িত্বে রয়েছেন। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি সবসময় প্রস্তুত।
এর আগে একই দিন সকালে খারাংখালী সীমান্ত দিয়ে অস্ত্রসহ মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের ৯ জন সদস্য আশ্রয়ের জন্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। এ নিয়ে এক দিনে মোট ১৪ জন বিজিপি সদস্য টেকনাফের খারাংখালী সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিজিপির সদস্যরা বিজিবির হেফাজতে রয়েছেন।
গত মার্চে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে এসেছিলেন ১৭৯ জন বিজিপি সদস্য। এরপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর আরও ৩ জন সদস্য তুমব্রু সীমান্তের কোণারপাড়া দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয নেন। তারাও নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি ব্যাটালিয়নের হেফাজতে আছেন। এ নিয়ে সর্বমোট ১৯৬ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশের আশ্রয় নিয়েছেন।
এর আগে প্রাণ বাঁচাতে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ৩৩০ জন মিয়ানমার নাগরিককে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]