
জামালপুরে ইসলামপুরের চিনাডুলী ইউনিয়নের দেওয়ানপাড়া এলাকার জেগে উঠা যমুনা চরের ফসলি জমির পাশে যমুনা নদীতে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগে জানা যায়, যমুনা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে একসময় ইসলামপুর উপজেলার চিনাডুলী ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী পাহলোয়ান বাড়িসহ আজমবাদ, শিংভাঙ্গা বরুল গ্রাম ও দেওয়ানপাড়ার একাংশ এলাকা নদীতে বিলীন হয়ে যায়।
আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় যমুনা বামতীরে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে বাম তীর সংরক্ষণ পাইলিং বাঁধ হওয়ায় সম্প্রতি নদীতে বিলীন হওয়া গ্রামগুলোর জমি আবারও জেগে উঠে আবাদযোগ্য চর পড়েছে।
ভোক্তভোগী নদী ভাংগা গ্রামবাসীদের অভিযোগ উক্ত চরে তারা পেঁয়াজ, গম, ধান, মরিচসহ বিভিন্ন ফসল ফলিয়ে আসছেন, কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনের কোনো তোয়াক্কা না করে স্থানীয় একটি বালুদস্যু সিন্ডিকেট তাদের যমুনায় জেগে উঠা চর ও ফসলি জমির নিকট থেকে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে। এতে তাদের জেগে উঠা জমি পরিবর্তনসহ ফসলি জমি ও যমুনা তীর সংরক্ষণ বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। তাই এ ব্যাপারে ভোক্তভোগী জমির মালিক ও স্থানীয় সচেতনমহল প্রশাসনের নিকট লিখিত অভিযোগে জেগে উঠা যমুনার চরে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে মাটি উত্তোলন বন্ধের জরুরি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে সোমবার ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিরাজুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়েছি, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।
ইসলামপুর উপজেলার নদ-নদী, খাল-বিল ও ফসলি জমি থেকে বেকু মেশিন ও ড্রেজারে অবৈধ মাটি ও বালু উত্তোলন বন্ধে শুধু ভুক্তভোগীদের আশ্বাসই নয়, আইনের যথাযথ প্রয়োগ হবে এটাই প্রত্যাশা ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর।
বিবার্তা/ওসমান/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]