
ঘণ কুয়াশায় আর তীব্র শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গার মানুষজন। একদিকে যেমন ঘণ কুয়াশা অন্যদিকে উত্তর থেকে হু হু করে বয়ে আসা কনকনে ঠান্ডা বাতাসে জনজীবন অনেকটা বিপন্ন হয়ে উঠেছে। গত ২৪ ঘন্টায় তাপমাত্রা কমেছে ২ ডিগ্রি, বেড়েছে বাতাসের আদ্রতা।
দেশের দক্ষিণ পশ্চিমের এই জেলায় দিনের শেষ ভাগ থেকেই কুয়াশা শুরু হয়। এরপর ভোরে কুয়াশার আধিক্য বাড়ে। আর সকালে তীব্র আকার ধারন করে। ঘণ কুয়াশা আর তীব্র শীতে নিন্মআয়ের খেটে খাওয়া মানুষ সবচে বেশি বিপাকে পড়েছে। এমন আবহাওয়ায় শীতজনিত রোগের প্রভাব বাড়ছে।
ঘণ কুয়াশার কারণে সড়কে যান চলাচল বেশ দুরূহ হয়ে পড়েছে। সড়ক মহাসড়কে হেডলাইন জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলাচল করছে যানবাহন। দৃষ্টি সীমা ৪০০ থেকে ৫০০ মিটারের মধ্যে রয়েছে। আবহাওয়া অফিস বলছে বেলা বাড়ার সাথে সাথে কুয়াশা কেটে যাবে।
রিকশাচালক আতাউর মিয়া বলেন, গত তিনদিন বেশ কুয়াশা ছিল। আজও ব্যাপক কুয়াশা। সকাল থেকে ঠান্ডা জেঁকে বসেছে। আর ঠান্ডা বাতাসে পুরো শরীর কেঁপে যাচ্ছে। এ রকম আরও কয়েকদিন হলে সকালে কাজে বের হওয়া যাবে না।
স্কুল শিক্ষক রাশেদ জামান বলেন, সকাল ৮টার মধ্যে স্কুলের উদ্দেশে বের হতে হয়। আজ প্রচণ্ড শীত অনুভূত হচ্ছে। উত্তরের হিমেল হাওয়ায় জবুথবু অবস্থা। খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ তো নাজেহাল হয়ে যাচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগারের জৈষ্ঠ্য পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান বলেন, আরো কয়েকদিন এমন ঘণ কুয়াশা থাকবে। সেই সাথে শীতও বাড়বে। আজ বেলা ১২ টা নাগাদ সূর্যের দেখা মিলবে।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সকাল ছয়টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ১০০ শতাংশ। আর সকাল ৯ টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস একই সময় বাতাসের আদ্রতা ছিলো ১০০ শতাংশ।
গতকাল সোমবার (৮ জানুয়ারি ) সকাল ৯টা চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৯৮ শতাংশ। আর সকাল ৯ টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ৯৫ শতাংশ।
বিবার্তা/সাঈদ/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]