দেশের দক্ষিণ পশ্চিমের জেলা চুয়াডাঙ্গায় শৈত্য প্রবাহের সম্ভাবনার তথ্য আগেই জানিয়েছিলো আবহাওয়া অফিস। সে অনুযায়ী তাপমাত্রার পারদ ক্রমেই নিচের দিকে নামার ফলে কনকনে ঠান্ডা ও তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে এ জেলায়।

আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগারের তথ্য অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯ টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গতকাল বুধবার একই সময়ে জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় এ জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এর আগে গত সোমবার সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ৯১ শতাংশ। যা ছিলো দেশের সর্ব নিন্ম তাপমাত্রা।

উত্তর দিক থেকে হু হু করে আসা শীতল বাতাস শীতের মাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে বহুগুণ। সকালে সূর্য ওঠার পরেও কুয়াশার আধিক্য থাকছে প্রকৃতিতে। অপরদিকে সন্ধ্যা নামার পরপরই শুরু হচ্ছে কুয়াশা।

এদিকে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের। জেলার চারটি উপজেলার হাসপাতাল গুলোতে ঠান্ডা জনিত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। শীতের কারণে বয়স্ক ও শিশুরা নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগারের কর্মকর্তারা জানান, শৈত্য প্রবাহের শংকা রয়েছে এ জেলায়। এখন থেকে প্রতিদিনই জেলায় তাপমাত্রা কমতে থাকবে এবং শীতের তীব্রতা বাড়বে।

বিবার্তা/সাঈদ/মাসুম