চিলমারী একটি বাণিজ্যিক হাবে পরিণত হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
প্রকাশ : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৭:১৩
চিলমারী একটি বাণিজ্যিক হাবে পরিণত হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

চিলমারী থেকে রেললাইন আপগ্রেড করে মিটার ও ব্রডগেজ করার প্রক্রিয়া চলছে জানিয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, চিলমারী একটি বাণিজ্যিক হাবে পরিণত হবে। আসাম, ত্রিপুরা ও ভুটান তিন দেশ এই বন্দর দিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য করবে। এতে ব্যবসা বাণিজ্যের নতুন দিগন্ত চালু হবে।


২৯ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) রংপুর বিভাগ সাংবাদিক সমিতি, ঢাকার বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা পরিকল্পনা করেছি চিলমারীতে একটি ম্যারিটাইম ইনস্টিটিউট করব। তবে সেটা করা হচ্ছে। কুড়িগ্রামে ইতোমধ্যে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চালু হয়ে গেছে। গাইবান্ধা মেডিকেল কলেজ, ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়, বিভাগ হওয়ার পর এই কাজগুলো হাইস্প্রিডে হচ্ছে। ঢাকা থেকে রংপুর এবং রংপুর থেকে কুড়িগ্রামের বুড়িমারী পর্যন্ত ফোরলেন রাস্তার কাজ কিন্তু চলছে। গোবিন্দগঞ্জ থেকে দিনাজপুর পর্যন্ত একটি মহাসড়কের ৯০০ কোটি টাকার কাজ কিন্তু ইতোমধ্যে হয়ে গেছে। এছাড়াও সৈয়দপুর থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত ফোরলেনের রাস্তা হবে।


পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত সম্পন্ন হয়ে গেছে। বাংলাবান্ধা হয়ে ভারতের জলপাইগুড়ির সাথে আমাদের রেললাইন সংযুক্ত হয়ে যাবে। ইতোমধ্যে চিলাহাটি হয়ে রেললাইন সংযুক্ত হয়ে গেছে। এসব উন্নয়ন যেভাবে জানা দরকার তা কিন্তু জনগণ জানছে না। কাজেই সেগুলো প্রকাশ হওয়া দরকার। আর সেই দায়িত্ব গণমাধ্যমের।


এসময় তিনি সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে বলেন, আট বছর আগে যেখানে প্রতিদিন সৈয়দপুরে দুই তিনটি বিমান চলাচল করত, এখন সেখানে প্রতিদিন ১৯টি বিমান চলাচল করে। আগে রংপুরের মানুষকে ‘মফিজ’ বলে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করত। এখন সেই অবস্থা নেই। এখন রংপুরের মানুষ সব থেকে বেশি বিমানে যাতায়াত করে।


খালিদ বলেন, রংপুরের ঘাঘট নদী উন্নয়নে ২৫০০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবেন। প্রধানমন্ত্রী যেটি ঘোষণা করেন সেটি তিনি বাস্তবায়নের চেষ্টা করেন। সরকারে থাকলেও করেন, সরকারে না থাকলেও করেন। তার একটা উদাহরণ দিতে পারি পদ্মা সেতু।


আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, উত্তরবঙ্গের নদীগুলো দিয়ে ৭২ ভাগ পানি প্রবেশ করে। তার মধ্যে ৬২ ভাগ পানি কিন্তু এই তিস্তা দিয়ে প্রবেশ করে। কুড়িগ্রামেই ১৬টি নদী রয়েছে। নদীকে যদি কেউ বাংলাদেশে রিপ্রেজেন্ট করে তবে আমরা উত্তরবঙ্গের মানুষই করেছি। এই নদীগুলোকে রক্ষার জন্য ধারাবাহিক প্রক্রিয়া চলছে। আমাদের কিন্তু অনেক কিছু থেমে গিয়েছিল। চিলমারী বন্দর বিলীন হয়ে গিয়েছিল। সেখানে সাড়ে চারশ কোটি ব্যয়ে একটি জেটি ও যাত্রী টার্মিনাল হচ্ছে। এখন কিন্তু সেখানে কাস্টমস হচ্ছে। একটি কানেকটিভিটি তৈরি হচ্ছে। সুন্দরগঞ্জ থেকে একটি ৮০ কিলোমিটার সড়ক হচ্ছে। তখন ঢাকা আসতে দূরত্ব কমে আসবে।


বাংলাদেশের ৫০ বছরের চ্যালেঞ্জিং উন্নয়ন পদ্মা সেতু- এমনটা জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেটা এই সরকার বাস্তবায়ন করেছে। প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুর ব্যাপারে যতটা সিরিয়াস তিনি একইভাবে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে করবেন। তিনি কিন্তু অনেকগুলো চ্যালেঞ্জিং কাজ করেছেন।


তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতা ও দক্ষ কূটনৈতিক বুদ্ধিতার কারণে ছিটমহল সমস্যার সমাধান হয়েছে। সেই এলাকার মানুষজন মুক্ত জীবন পেয়েছে। প্রতিমন্ত্রী ছিটমহল সমস্যা সমাধানের আগে ছিটমহলগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেছেন এবং তাদের কষ্টের কথাগুলো নিজ চোখে দেখে জানারও চেষ্টা করেছেন, সেই অভিজ্ঞতার কথাও তুলে ধরেন। তবে সম্প্রতি তিনি সেই সব ছিটমহল ঘুরতে দেখতে পান সবকিছু বদলে গেছে। অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে ছিটমহলগুলোতে। সেখানে এক কিলোমিটারও রাস্তা ছিল না। সেখানে কোনো আলো ছিল না, ব্রিজ কালভার্ট ছিল না। লেখাপড়া করারও একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। এসব সমস্যা এখন ছিটমহল সমস্যা সমাধানের কারণে দূর হয়ে গেছে।


তোফাজ্জল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য উন্মে কুলসুম স্মৃতি, সংগঠনের সিনিয়র সদস্য শামসুল হক দুররানী, সংগঠনের সিনিয়র সদস্য আনন্দ আলোর সম্পাদক রেজানুর রহমান, সদস্য মশিউর রহমান, সংগঠনের সাবেক আহ্বায়ক ও নর্থ বেঙ্গল ফোরামের সভাপতি নজমুল হক সরকার এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইমরুল কায়সার ইমন প্রমুখ।


বিবার্তা/রিয়াদ/সউদ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com