বান্দরবানে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। নতুন করে বৃষ্টি না হওয়ায় শহর থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। তবে বান্দরবানের সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ এখনো স্বাভাবিক হয়নি।
গতকাল থেকে নিম্নাঞ্চলের পানি নামতে শুরু করায় জনদুর্ভোগ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, টানা বৃষ্টি বন্ধ হলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে।
লামা ও আলীকদম উপজেলায় এখনো সড়ক যোগাযোগ পুরোপুরি চালু হয়নি। বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র তলিয়ে যাওয়ায় গত চার দিন ধরে বান্দরবান বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
বন্যা দুর্গত বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনী উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। সেনাবাহিনী, বিজিবি, জেলা প্রশাসন ও পৌরসভা থেকে বিভিন্ন এলাকায় বন্যার্তদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি, শুকনো খাবার ও খিচুড়ি বিতরণ করা হচ্ছে।
বন্যার্তদের জন্য জেলায় ২৬৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৩ লক্ষাধিক মানুষ। বন্যার্তদের জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের ৪৩টি ও সেনাবাহিনীর পাঁচটি মেডিকেল টিম কাজ করছে।
গত ২ আগস্ট থেকে ৮ তারিখ পর্যন্ত টানা ৭ দিনের ভারি বর্ষণে জেলার প্রায় সকল উপজেলা বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। এতে সড়ক, বিদ্যুৎ, মোবাইল ও ইন্টারনেট যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। ফলে জেলাজুড়ে ভেঙে পড়েছে সব ধরনের যোগাযোগ ব্যাবস্থা। গতকাল থেকে পানি কমতে শুরু করলেও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, কেউ যেন অনাহারে না থাকেন সেজন্য ক্ষতিগ্রস্তদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, ফায়ারসার্ভিস একসঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে। সম্পূর্ণভাবে পানি না নামায় ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করা সম্ভব হয়নি বলে জানান জেলা প্রশাসক।
সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বন্যার্তদের সহায়তায় নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে বিনামূল্যের স্বাস্থ্যসেবাসহ সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।
বিবার্তা/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]