বন্ধুর সাথে ঘোরাঘুরির ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় বকাঝকা করে কলেজ পরিচালনা কমিটির এক সদস্য। এতে অভিমান করে তানজু আক্তার (১৯) নামে এক স্কুলছাত্র আত্মহত্যা করেছে।

৮ আগস্ট, মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ ওই ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর আগে বেলা ১১টার দিকে নানার বাড়িতে সেমিপাকা বসত ঘরের ভেতরে আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে সে।

তানজু লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের রাখালিয়া গ্রামের মৃত খোকন মিয়ার ছোট মেয়ে। সে কাজী ফারুকী স্কুল এন্ড কলেজ থেকে চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় ‘এ মাইনাস’ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে।

তানজুর মা মাজেদা বেগম বলেন, তার মেয়ের মোবাইলে থাকা ছবি নিয়ে কি একটা ঝামেলা হয়েছে। এ নিয়ে কাজী ফারুকী স্কুল এন্ড কলেজ পরিচালনা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান তানজুর কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে তাকে বকাঝকা করে। মিজানের উপর অভিমান করে তার মেয়ে সকলের অগোচরে আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনার জন্য মিজানকে দায়ী করেন তিনি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মিজানুর রহমান বলেন, স্কুলছাত্রী তানজুর পারিবারিক অভিভাবক হিসেবে আমাকে মান্য করতো। একটি ছেলের সাথে তার বন্ধুত্বের সম্পর্ক হয়। গত ৫-৭ দিন আগে তাদের দুইজনের ঘোরাঘুরির ছবি নাকি টিকটকে ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে তার মামা মোরশেদ আমাকে জানায়। আমি তাদের অভিভাবক হিসেবে মোবাইল ফোনটি নিয়ে তার মামার কাছে দিই। তাকে আমি কোনো বকাঝকা করিনি। কিন্তু তার আত্মহত্যার জন্য এলাকার একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আত্মহত্যার জন্য আমি দায়ী নই।

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া বলেন, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিবার্তা/সুমন/সউদ