সাতক্ষীরায় পৃথক ঘটনায় প্রেমিকাকে হত্যার দায়ে প্রেমিক আব্দুর রহমান (২০) এবং তরুনীকে ধর্ষণের অভিযোগে ধর্ষক রবিউল ইসলাম (৩৫) কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এসময় আসামি আব্দুর রহমান আদালতে উপস্থিত থাকলেও রবিউল ইসলাম পলাতক ছিলেন।
এছাড়া প্রেমিক আব্দুর রহমানকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ বছরের কারাদণ্ড এবং ধর্ষক রবিউল ইসলামকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
১৯ জুলাই, বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ চাঁদ মোহাম্মদ আলিম আল রাজি এবং নারী ও শিশু আদালতের বিচারক এমজি আযম পৃথক দুটি ঘটনায় এ রায় দেন।
আসামি আব্দুর রহমান কলারোয়া উপজেলার জালালাবাদ গ্রামের আলতাফ হোসেনের পুত্র এবং রবিউল ইসলাম আশাশুনি উপজেলার মনিপুর গ্রামের মোকছেদ আলী গাজীর পুত্র।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামি আব্দুর রহমানের সাথে জালালাবাদ গ্রামের সোহরাব হোসেনের কন্যা সানজিদা হোসেন সেজুতির (১৪) প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ২৭ মার্চ রাতে সে নিখোঁজ হয়। পরের দিন সকালে সেজুতির লাশ বাড়ির পাশ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এঘটনায় সেজুতির মা লায়লা পারভীন পরদিন কলারোয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
আসামি আব্দুর রহমান আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। মামলায় ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন।
অন্যদিকে, ২০১০ সালের শুরুর দিকে আশাশুনি উপজেলার মনিপুর গ্রামের ১৯ বছরের এক তরুণীকে একটি মৎস্যঘেরের পাশে পরিত্যাক্ত ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে একই এলাকার মোকছেদ আলীর পুত্র রবিউল ইসলাম। ধর্ষণের ফলে তরুণী গর্ভবতী হয়ে পড়লে ২৯ জুন ২০১০ তারিখে ধর্ষিতার পিতা আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলায় ৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন।
সাতক্ষীরা জজকোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ দুটি রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিবার্তা/সেলিম/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]