গাজীপুরের পূবাইলে ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর ডোবায় ফেলে হত্যার অভিযোগে আব্দুল্লাহ ফকির ওরফে আব্দুল্লাহ (২০) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত যুবক বাড়ি বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট থানাধীন কাচনা এলাকার বাসিন্দা। সে পুবাইলে বাবা-মায়ের সঙ্গে ভাড়া থাকে।

পূবাইল থানার ওসি মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, গত শনিবার (১৬ জুলাই) ভোরে পূবাইলের মাজুখান এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

নিহত শিশু নুপুর আক্তার মাজুখান বাঘেরটেক এলাকার রাজমিস্ত্রি আবুল হোসেনের মেয়ে। সে স্থানীয় হলি কোরআন মাদরাসার ছাত্রী।

পুলিশ জানায়, নুপুর গত বুধবার দুপুর ১টার দিকে আইসক্রিম কেনার জন্য বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। এরপর সে আর ফেরেনি। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও স্বজনরা তার সন্ধান পাননি। পরদিন সকালে বাড়ির পাশের একটি ডোবার পানিতে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

এ ঘটনায় শুক্রবার (১৪ জুলাই) নিহত শিশুটির বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে পুবাইল থানায় হত্যা ও লাশ গুমের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন।

পুবাইল থানার ওসি জাহিদুল ইসলাম জানান, সন্দেহবশত ওই যুবককে শনিবার ভোরে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে যুবক শিশুটিকে ধর্ষণের পর ডোবায় ফেলে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। শনিবার বিকেলে গাজীপুর মহানগর আদালতে হাজির করা হলে তিনি দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে তাকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পূবাইল থানার এসআই মিল্টন কুণ্ডু বলেন, আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে আব্দুল্লাহ জানায়, ঘটনার দিন ওই শিশুটি ছাড়াও প্রতিবেশী আরেক শিশু এবং সে ওই ডোবার পানিতে গোসল করতে নামে। প্রতিবেশী শিশুটি গোসল শেষে বাড়ি ফিরে যায়। মাদ্রাসাছাত্রী শিশুটি ও সে (আব্দুল্লাহ) ডোবার পানিতেই ছিল। এক পর্যায়ে আব্দুল্লাহ শিশুটিকে জোর করে ডোবার পাড়ের নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। সে সময় ডোবার অপরপ্রান্তে মানুষের চলাচলের শব্দ পেয়ে শিশুটিকে ডোবার পানিতে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় আব্দুল্লাহ।

পূবাইল থানার ওসি জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বিবার্তা/লিমন