গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বেড়েছে তাল শাঁসের চাহিদা। কেউ বলে তালশাঁস, আবার কেউ বলে তালের চোখ,কেউ বলে তালকুরা বা আশাড়ি। বিভিন্ন নামে ডাকে এই মৌসুমি ফলকে। গরম বাড়ার সাথে সাথে এর চাহিদা বেড়েছে সাধারণ মানুষের কাছে। প্রচন্ড গরমে উপজেলা জুড়ে বিভিন্ন হাট-বাজার ও রাস্তার মোড় কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অফিস,আদালতের সামনে ভ্যানে বা বস্তি দোকান দিয়ে বিক্রি হচ্ছে তালের শাঁস।
বৈশাখ থেকে জৈষ্ঠ্য মাসের অর্ধেক পর্যন্ত এ দেড় মাস চলে তালের শাঁস বিক্রি। বিক্রেতারা বিভিন্ন জেলা ঘুরে ঘুরে এসব তালের শাঁস কিনে নিয়ে এসে নিজ এলাকার হাট-বাজারে বিক্রি করেন। এ ফলটি খেতে যেমন সু-স্বাদু, তেমনি এতে রয়েছে প্রচুর পুষ্ঠিগুণ। এ জন্যই গরমে সকলের কাছে তালের শাঁস বেশ প্রিয়। এ কারণে দেখা গেছে ক্রেতাদের বেশ চাহিদা।
গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার চাষকপাড়া মহল্লার তালশাঁস বিক্রেতা আপেল মিয়া (৩৫) বলেন, তাল যখন কাঁচা থাকে, তখন বাজারে এটা পানি তাল বা তালের শাঁস হিসেবেই বিক্রি হয়। প্রতিটি তালের শাঁস আকার ভেদে ২০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হয়। প্রতিটি তালের ভিতর দুই থেকে তিনটি শাঁস থাকে। পাইকারি দামে কিনে এ ভাবে তালের শাঁস বিক্রি করে চলে তার সংসার।
সিহাব নামে এক ক্রেতা বলেন, বাজারের অন্য সব ফলে ফরমালিন বা কেমিক্যাল থাকলেও তালের শাঁসে কোনো ফরমালিন বা কেমিক্যাল মেশানো থাকে না। এতে শরিরের ক্লান্তিও দুর হয়। তাই গরমে তিনি তালের শাঁস খেয়ে থাকেন।
বিবার্তা/খালেক/এনএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]