কক্সবাজারের টেকনাফের দুর্গম পাহাড়কেন্দ্রিক একের পর এক অপহরণ ও মুক্তিপণের অন্যতম হোতা ছলেহ বাহিনীর প্রধান হাফিজুর রহমান ওরফে ছলে উদ্দীনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ সময় তার অন্যতম সহযোগী সোহেল ডাকাতসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করে র্যাব।
র্যাব জানায়, আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) অন্যতম নেতা এই ছলে। শুক্রবার (৫ মে) রাত ৯টা থেকে টা দুই ঘণ্টার অভিযানে টেকনাফের বাহারছড়া পাহাড় এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে র্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
রাতে র্যাব সদরদপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, কক্সবাজারে বেশকিছু দিন ধরে একের পর এক অপহরণ, মুক্তিপণ ও ডাকাতির ঘটনা ঘটছিল। এসব ঘটনায় কক্সবাজার র্যাব-১৫ ও র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা দল নজরদারি শুরু করে। দীর্ঘ নজরদারির এক পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় কক্সবাজার টেকনাফ কেন্দ্রিক এসব অপরাধ ঘটিয়ে আসছিল ছলেহ বাহিনী নানে একটি বাহিনী। এ বাহিনীর প্রধান হাফিজুর রহমান ওরফে ছলে উদ্দীন। তাকে গ্রেপ্তারে শুক্রবার রাতে কক্সবাজারের টেকনাফের দুর্গম পাহাড়ে অভিযান শুরু হয়।
অভিযানে অপহরণ ও মুক্তিপণের অন্যতম হোতা ছলেহ বাহিনীর প্রধান হাফিজুর রহমান ওরফে ছলে উদ্দীন ও তার অন্যতম সহযোগী সোহেল ডাকাতসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।
গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য বলছে, কক্সবাজারে এসব ঘটনায় জড়িত আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) অন্যতম নেতা হাফিজুর রহমান ওরফে ছলে উদ্দিন। এ যুবক বর্তমানে আরসা প্রধান আতাউল্লাহর পরেই দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ছলের গ্রুপে অপহরণ বাণিজ্যে জড়িত ১০ থেকে ১৫ জন। কক্সবাজারের গহীন পাহাড়ে ছলের আস্তানাও রয়েছে।
মিয়ানমার থেকে দেশে আসা রোহিঙ্গাদের তালিকা থাকলেও সরকারিভাবে ছলের কোনো নামের তালিকা পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ ছলে তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গা নয়। প্রতিবারই অপরাধ করে তিনি আবার মিয়ানমারে আত্মগোপন করেন।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]