রাজশাহীতে ছাদবাগানে চাষে সাফল্য ব্যাংক কর্মকর্তার
প্রকাশ : ১৬ মার্চ ২০২৩, ১৮:৩৩
রাজশাহীতে ছাদবাগানে চাষে সাফল্য ব্যাংক কর্মকর্তার
মোস্তাফিজুর রহমান রানা, রাজশাহী
প্রিন্ট অ-অ+

বেদানা খেতে কার না ভালো লাগে। ছোট থেকে বড় বেদনার প্রতি আকর্ষণ সব্বার। দানাদার এই ফলের বীজ মুখে দিলেই এর সুমিষ্ট রসে মন ভরে ওঠে। পুষ্টিগুণে ভরপুর স্বাস্থ্যসম্মত বলবর্ধক এই ফল, রোগীদের পথ্য হিসাবে আদর্শ। বাজারে বেশ চাহিদা থাকায় এই ফল বহুল পরিমাণে দেশে চাষ করা দরকার।


তবে বাড়ির ছাদে এই ফলের চাষ নিয়ে অনেকেই ওয়াকিবহাল নন। সহজে, বুদ্ধি খাটিয়ে ছাদবাগানে এই ফলের চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন রাজশাহী সোনালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার মো. আহমুদুর রহমান সুজন। তিনি নগরীর শাহমখদুম থানাধীন কয়েরডাঁরা এলাকায় প্রায় ১৬০০ বর্গফুট ছাদে গড়ে তুলেছেন ছাদবাগান।



পৃথিবীজুড়ে প্রায় ১২০০ জাতের বেদানার গাছ আছে। এর মধ্যে মাহমুদুর রহমান সুজনের সংগ্রহে রয়েছে ৬০ জাতের গাছ। অধিকাংশ গাছেই ঝুলতে দেখা গেছে টকটকে লাল বেদানা।  



বাগানটিতে উল্লেখযোগ্য জাতগুলির মধ্যে রয়েছে ভাগুয়া, সুপার ভাগুয়া, মৃদুলা, আরক্তা, সোলাপুর লাল, অস্ট্রেলিয়ান, থাই, মেক্সিকান, পাকিস্তানি, পারফিয়াংকা, ইরানি, গুজরাটি, রোসাভায়া, এনজেল রেড, পেরু কিং, সফট সীড ও এভার সুইট।



দানাদার বেদানার রং, অতি রসালো এবং নরম বীজের কারণে বাজারে আমদানিকৃত বেদানার তুলনায় অনেকটা সুস্বাদু। ইদানিং অনেকেই বাড়ির ছাদবাগানে ফলেন চাষ শুরু করলেও রাজশাহীতে প্রথমবারের মত বিভিন্ন প্রকার বেদানার চারা রোপন করে আলোচনায় উঠে এসেছেন ওই ব্যাংক কর্মকর্তা।


ছাদবাগানে বিদেশি বেদানা-আনার দেখে মুগ্ধ এলাকাবাসী। আহমুদুর রহমান সুজন ইতোমধ্যে স্থানীয়দের কাছে আনার সম্রাট নামে পরিচিতি অর্জন করেছেন।


স্থানীয়রা অনেকেই বলছেন, আমাদের দেশের মাটিতে এবং ছাদের উপর বিদেশি বেদানা চাষ করা সম্ভব এটা জানা ছিলো না। এছাড়া বেদানাগুলোও যেমন রসালো তেমন সুমিষ্ট। রীতিমত অনেকেই চারা সংগ্রহ করছেন এবং পরামর্শ নিচ্ছেন ওই ব্যাংক কর্মকর্তার কাছ থেকে।


আহমুদুর রহমান সুজন বলেন, আমি মহামারি করোনার মধ্যে শুরু করি ছাদ বাগান। বিভিন্ন মাধ্যমে সংগ্রহ করি বিদেশি বেদানার চারা। আমার পরিচিত একজন কৃষিবিদ অষ্ট্রেলিয়া থেকে দুটি বেদানার চারা আমাকে এনে দিয়েছিলেন। সেই গাছে প্রচুর পরিমাণ বেদানা ধরে। কারণ আমাদের দেশের মাটি এবং আবহওয়ার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত হচ্ছে অষ্ট্রেলিয়ান প্রজাতি। প্রথম বছর থেকেই ফল দিবে এবং প্রতিটি বেদানা ৩০০/৩৫০ গ্রাম ওজনের হয়। ওইগুলো যেমন রসালো তেমন সুমিষ্ট।


গাছগুলোর পরিচর্যায় মাটি, গোবর, খইল, সবজি, পচা পানি দিয়ে জৈব সার তৈরি করে ব্যবহার করা হয়। তবে একটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে গাছের গোড়ায় কোনো প্রকার পানি জমতে দেয়া যাবে না। নিস্কাশন ব্যবস্থা অবশ্যই ভালো থাকতে হবে বলে জানান সুজন।


রাজশাহী কৃষি অফিস বলছে, এ অঞ্চলের আবহাওয়ায় বেদানা চাষ করা সম্ভব। বীজ ও কলম থেকেই জন্মনেয় বেদানা গাছ। বর্ষা মওসুমের শুরুতে এ গাছের চারা রোপন করতে হয়। চারা রোপনের এক থেকে দু’বছরের মধ্যে বেদানার ফলন আসতে শুরু করে।  



বিবার্তা/রানা/রোমেল/জবা

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com