গুলিস্তানে বিস্ফোরণ: ক্ষয়ক্ষতি ভবন মালিকের লোভ ও অবহেলার ফল
প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০২৩, ১৬:১২
গুলিস্তানে বিস্ফোরণ: ক্ষয়ক্ষতি ভবন মালিকের লোভ ও অবহেলার ফল
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার প্রধান হারুন অর রশীদ বলেছেন, রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজার এলাকায় বিস্ফোরিত কুইন স্যানিটারি মার্কেট ভবনটি নির্মাণে বিল্ডিং কোড মানা হয়নি। দোকানের মালিক বিল্ডিং কোড না মেনে ভাড়া নিয়ে বেইজমেন্টের ১ ইঞ্চি জায়গাও ফাঁকা না রেখে ডেকোরেশন করে দোকান বানিয়ে সেখানে তার কর্মচারী ও ক্রেতা সাধারণের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছেন। এত প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি ভবনের মালিক এবং দোকানদারের স্বেচ্ছাচারিতা, লোভ ও অবহেলার ফল।


বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।


তিনি বলেন, এটা রাজউকের দেখা উচিত ছিল যে অনুমতি নিয়ে বিল্ডিং কোড মেনে ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছিল কি-না।


ডিএমপি গোয়েন্দা শাখার প্রধান বলেন, সিদ্দিকবাজারের যে ভবনটিতে বিস্ফোরণ ঘটে তার নাম কুইন স্যানিটারি মার্কেট। এক সময় এর নাম ছিল কুইন ক্যাফে। ১০ তলা ভবনের প্ল্যান করা হলেও ১৯৯২ সাল পর্যন্ত কেবল বেইজমেন্ট ও ১ তলা করা ছিল। এর বেইজমেন্টে ছিল রান্নাঘর আর একতলায় ছিল খাবারের হোটেল। এই রান্নাঘরে কমার্শিয়াল গ্যাসের বড় লাইন ছিল যা পরে লিখিতভাবে তিতাসের কাছে সারেন্ডার করা হয়।


হারুন অর রশীদ বলেন, ২০০৪ সালে ভবনটির ৭ তলা পর্যন্ত কমপ্লিট করা হয়। বর্তমানে একটি আন্ডারগ্রাউন্ড বেইজমেন্টসহ ৭ তলা পর্যন্ত ভবনটি কমপ্লিট আছে। ভবনটির প্রকৃত মালিক মরহুম হাজী মোহাম্মদ রেজাউর রহমান। ২০১১ সালে তার মৃত্যুতে তার তিন ছেলে, দুই মেয়ে এবং স্ত্রী বর্তমানে ভবনটির মালিক।


তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যমতে কুইন স্যানিটারি মার্কেটের আন্ডারগ্রাউন্ড বিস্ফোরণের উৎসস্থল। বেইজমেন্টের এই আন্ডারে গ্রাউন্ড স্পেসটি রাজউকের বিধান অনুসারে খোলামেলা থাকলে সেখানে কোনো ত্রুটি দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে নিরসন করা যেত। বায়ু গ্যাসসহ অন্যান্য সমস্যারও সমাধান করা যেত। বাড়ির মালিকরা টাকার লোভে আন্ডারগ্রাউন্ডকে একসময় রান্নাঘর হিসেবে ব্যবহার করেছেন। সেই রান্নাঘরের গ্যাসের লাইন যথাযথভাবে অপসারণ না করে তার ওপরেই সম্পূর্ণ এয়ার টাইট এসি করা নির্মাণ সামগ্রীর মার্কেট বানিয়ে দিয়েছেন।


তবে রাজউকের উচিত ছিল ভবনটি নির্মাণে অনুমতি নেয়ার পর বিল্ডিং কোড মেনে ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছিল কি না তা দেখা। যারা ভবনটি থেকে ট্যাক্স আদায় করেন তাদেরও উচিত ছিল, যাদের ট্রেড লাইসেন্স দিচ্ছি, ট্যাক্স নিচ্ছি, তারা বিল্ডিং কোড ফলো করছে কি না! ডিবি পুলিশ ছাড়াও অন্যান্য সংস্থা ঘটনার তদন্ত করছে।


এক প্রশ্নের জবাবে হারুন বলেন, ভবন মালিক, দোকান মালিক, বাসিন্দাদের তো দায় ছিলই, রাজউক ও সিটি করপোরেশনেরও উচিত কার কী দায় ছিল তা তদন্ত করা।


বিবার্তা/এসএ


সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com