নোয়াখালীতে সুবর্ণচরের ৮টি ইউনিয়নে উপজেলা কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় সরিষার আবাদ করা হয়েছে। সঠিক সময়ে বীজ বপন করায় প্রায় সব ক্ষেতই সরিষা ফুলে পূর্ণ হয়ে আছে। অনেক জমিতেই ফুল শেষ হয়ে বীজও দেখা গেছে। এতে ভালো ফলনের প্রত্যাশা করছেন কৃষকরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জেলার সর্ব দক্ষিণের এই উপজেলা চরবাটা, চরজব্বর ও চরকার্ক্ল এসব এলাকায় জমিতে বছরে এক থেকে দুটি ফসলের বেশি আবাদ হতো না। তবে সরকারের কৃষিবান্ধব নানা পদক্ষেপের কারণে বর্তমানে এই উপজেলার জমিতে চাষ হচ্ছে তিন ফসল। আমন কাটার পর পরে থাকা জমিগুলোতে আবাদ হচ্ছে সরিষা। এতে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।
উপজেলার চরবাটার কৃষক ৩ বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছেন কৃষক আক্কাছ মিয়া। তিনি বলেন, আগে ধান কাটার পর জমি ফেলে রাখতাম। এখন ফেলে না রেখে সরিষার চাষ করছি। এতে বাড়তি আয় হচ্ছে। সরিষা বিক্রির টাকা দিয়ে চলতি মৌসুমে ধান আবাদ করব।
চরবাটার আরেক কৃষক রফিকুল বলেন, সরিষা চাষে খরচ কম। অন্য ফসলের তুলনায় ফলনও ভালো হয়। অন্য সময়ে সরিষা ঘরে তোলা যায়। সরিষা চাষে আমি বেশ লাভবান হয়েছি।
চরক্লার্ক ইউনিয়নের কৃষক মো. এনায়েত উল্যাহ জানান, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে নতুন জাতের বীজ ও সার এবং নগদ অর্থ দিয়েছে। কৃষি অফিসের পরামর্শে ঝুঁকি নিয়ে ৫০ একর জমিতে সরিষা আবাদ করি। গাছে ভালো ফলন দেখা গেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো লাভবান হওয়ায় স্বপ্ন দেখছি। লাভবান হলে আগামীতে আরো ব্যাপক হারে চাষাবাদ করব ইনশাআল্লাহ।
উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন জানান, গত বছর এই চরক্লার্ক ব্লকে মাত্র ১ হেক্টর সরিষা আবাদ হয়। কিন্তু ভালো ফলন ও লাভবান হওয়ার এবার চলতি বছর ৩০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষাবাদ করেছে কৃষকরা। সঠিক সময়ে বীজ বপন করায় প্রায় ক্ষেতে সরিষার ভালো সম্ভাবনা দেখা গেছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. হারুন অর রশিদ জানান, সুবর্ণচর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে এবার মোট ৩৪০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ করেছে কৃষকরা। আশা করি এবার লাভের মুখ দেখবে কৃষক। কৃষকদের যে কোন প্রয়োজনে উপজেলা কৃষি বিভাগ পাশে রয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
বিবার্তা/সবুজ/জামাল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]