শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার বনাগাঁও পূর্বপাড়া গ্রামে শফিকুল ইসলাম নামের এক কৃষক প্রথম বারের মত রঙিন ফুলকপির চাষ করেছেন। প্রথম চাষেই বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পেয়ে খুশি ওই কৃষক। তার এমন সফলতা দেখে আগ্রহী হচ্ছেন স্থানীয় অন্য কৃষকরাও। রঙিন এ ফুলকপিতে স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী ভিটামিন ছাড়াও রয়েছে ক্যারোটিন ও এন্টিঅক্সিডেন্ট।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দেখতে হলুদ ও বেগুনি রংয়ের ‘রঙিন’ ফুলকপির বাংলাদেশে চাষাবাদ শুরু হয় ২০২১ সালে। ময়মনসিংহ অঞ্চলে ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় প্রথমবার নন-ক্রিপার জাতীয় সবজি চাষ প্রদর্শনী মাঠে ‘উন্নত জাত ব্যবহার ও পরিবেশ বান্ধব কৌশল’ ব্যবহার প্রয়োগ করে উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে ১৫ শতক জমিতে রঙিন ফুলকপি চাষ করে চমক দেখিয়েছেন কৃষক শফিকুল ইসলাম।।

কৃষক শফিকুল ইসলাম জানান, ১৫ শতক জমিতে চারাসহ সব মিলে তার খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। কোনো ধরণের কীটনাশক-সার ব্যবহার না করেই শুধু জৈব সার ব্যবহার করেন তিনি। চারা রোপণের ৭০ থেকে ৭৫ দিন পর বাগানে আসে রঙিন ফুলকপি। বর্তমানে বিক্রি শুরু করেছেন তিনি। তার আশা বাগান থেকে প্রায় দেড় লাখ মতো বিক্রি হবে পুষ্টিগুণে ভরপর এই রঙিন ফুলকপি।

তিনি আরও জানান, মজার ব্যাপার হলো রঙিন এসব ফুলকপি দেখতে প্রতিদিনই এলাকার কৃষকসহ সাধারণ মানুষ আমার জমিতে ভিড় করছেন। কেউ নিচ্ছেন চাষের পরামর্শ আবার কেউ কেউ তুলছেন ছবি। তাছাড়া বাজানে নেয়া মাত্রই বিক্রি হয়ে যায় এসব রঙিন কপি।

রঙিন ফুলকপির ভালো ফলন দেখে আগামী বছর নিজেও চাষ করতে চান আরেক চাষি জামিল মিয়া। তিনি বলেন, কৃষক শফিকুল যখন রঙিন ফুলকপি চাষ করলেন তার ফলন কেমন হয় তা দেখার অপেক্ষায় ছিলাম। শেষে দেখলাম, ফলন বেশ ভালোই হচ্ছে। আগামীবার আমিও অন্যান্য সবজির সাথে রঙিন ফুলকপি চাষ করব।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন দিলদার বলেন, কৃষক শফিকুল ইসলাম শাকসবজি চাষে খুবই আগ্রহী। তিনি প্রথমবারের মতো রঙিন ফুলকপি চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন। তার দেখাদেখি স্থানীয় অনেক কৃষকই এখন রঙিন ফুলকপি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। আমরা কৃষকদের পাশে সব সময় আছি।

তিনি আরও বলেন, ফুলকপি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ একটি সবজি। বিশেষ করে ফুলকপিতে ভিটামিন সি ই কে, ফলিক এসিড, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ রয়েছে। এটি ক্যানসার প্রতিরোধেও কাজ করে।

বিবার্তা/কেআর