স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হলেও পিরোজপুরের নাজিরপুর বিলাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগ্রহণের যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি। কমেনি দুর্ভোগ।
স্থানীয়রা জানান, দেশের উন্নয়নের সাথে সাথে এই এলাকার উন্নয়ন হলেও নাজিরপুর বিলাঞ্চলে এখন পর্যন্ত অবকাঠামোগত তেমন কোন উন্নয়ন হয়নি। বছরের প্রায় ৬ মাস এলাকার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও জনসাধারণকে নৌকা অথবা ট্রলারযোগে যাতায়াত করতে হয়। বিশেষ করে দেউলবাড়ি ও কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়নবাসীকে সমস্যা নিয়ে জীবনের সাথে যুদ্ধ করে বাঁচতে হচ্ছে।
বিলাঞ্চলের উল্লেখযোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হল- সোনাপুর উচ্চ বিদ্যালয়, ডুমরিয়া নেছারিয়া বালিকা আলিম মাদ্রাসা ও ডুমরিয়া নেছারিয়া বালক আলিম মাদ্রাসা। এছাড়া কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতের জন্য নেই কোন উপযুক্ত রাস্তা কিংবা ব্রীজ-কালভার্ট। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও জনসাধারণকে।
শীতকালে নদী-খাল কচুরিপানায় এমনভাবে আটকে থাকে যে নৌকা কিংবা ট্রলারযোগেও শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়পার কোন উপায় থাকে না। অথচ এই বিলাঞ্চলে রয়েছে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী, যারা আগামী দিনের দেশের ভবিষ্যৎ। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন না হওয়ায় এসব কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিলডুমরিয়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আইয়ুব আলী তালুকদার জানান, শৈশব থেকে দেখে আসা যাতায়াতের কষ্ট যেন শেষ হয়নি আজও। বয়সের শেষ প্রান্তে এসেও আধুনিক যুগে দূর্বিসহ কষ্ট যেন দেউলবাড়ি ইউনিয়নের মানুষের নিত্যদিনের সঙ্গী।
ডুমরিয়া নেছারিয়া বালিকা আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ একেএম ফজলুল হক বলেন, রাস্তা-ঘাট না থাকায় এবং খালে কচুরিপানা আটকে থাকায় নৌকা বা ট্রলারযোগে মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের আসায় প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডা. সঞ্জিব দাস বলেন, বর্তমান সরকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য দূর্গম এলাকায় অনেক প্রকল্প হাতে নিয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে এসব সমস্যার লাঘব হবে।
বিবার্তা/মশিউর/জামাল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]