১৯৭১ সালের এই দিনে ঝিনাইদহ শত্রুমুক্ত হয়। আকাশে উড়ে লাল সবুজের স্বাধীন পতাকা। ৬ ডিসেম্বরের আগে ৩ ডিসেম্বর মহেশপুর, ৪ ডিসেম্বর কোটচাঁদপুর, ৫ ডিসেম্বর কালীগঞ্জ এবং সর্বশেষ ১১ ডিসেম্বর শৈলকুপা উপজেলা শত্রুমুক্ত হয়।
ঝিনাইদহ হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে শহরের পায়রা চত্বরে শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সংসদ সদস্য মো. আব্দুল হাই প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের অনেককে বিভিন্ন স্থানে গণকবর দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকের নাম ঠিকানা আজো মেলেনি। স্বাধীনতা যুদ্ধে জেলায় প্রথম সম্মুখ যুদ্ধ সংঘটিত হয় সদর উপজেলার বিষয়খালীতে। এছাড়া, উল্লেখযোগ্য যুদ্ধের মধ্যে ছিল গাড়াগঞ্জ যুদ্ধ, শৈলকুপা থানা আক্রমণ, কামান্না, আলফাপুর ও আবাইপুরের যুদ্ধ। ঝিনাইদহ জেলায় খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে দুইজন। তারা হলেন বীর শ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান ও বীর প্রতীক সিরাজুল ইসলাম।
জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য খালেদা খানম, পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. মকবুল হোসেন, জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার বিপুল সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধাসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে পুরাতন ডিসি অফিস চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পায়রা চত্বরে এসে শেষ হয়। জেলা প্রশাসন ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর আয়োজন করে।
বিবার্তা/কোরবান/জহির
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]