নীলফামারীতে রাস্তায় কুড়িয়ে পাওয়া স্বাক্ষরিত দুই লাখ ৩৬ হাজার টাকার ব্যাংকের দুটি চেক ফেরত দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন মমতাজ উদ্দিন (৪৫) নামের এক প্রকৃত নীতিবান রিকশাচালক।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে নীলফামারী সদর থানায় গিয়ে চেকটি জমা দিলে থানা পুলিশ চেকের প্রকৃত মালিককে খুঁজে বের করে চেকটি বুঝিয়ে দেন। এ ঘটনায় শহরে ছড়িয়ে পড়লে প্রকৃত হিরো ওই রিকশাচালককে এক নজর দেখতে মানুষ ভিড় জমান।
রিকশাচালক মমতাজের বাড়ি জেলা সদরের টুপামারী ইউনিয়নের চৌধুরীপাড়া গ্রামে। তিনি দীর্ঘ ১৫ বছর হতে রিক্সা চালান নীলফামারী শহরে। যা আয় হয় তাই দিয়ে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে সংসার চলে তাদের।
জানা যায়, রবিবার দুপুরের দিকে শহরের চৌরঙ্গী মোড় দিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় ব্যাংকের দুইটি চেক পড়ে থাকতে ওই রিকশাচালক। বিকেলে নীলফামারী থানায় গিয়ে সেই চেক দুটি থানার ওসিকে দেন তিনি।
নীলফামারী থানার ওসি মমিনুল ইসলাম মোমিন জানান, দুইটি পৃথক চেকে মোট টাকার পরিমাণ উল্লেখ ছিল ২ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। চেক দুইটি ছিল অগ্রণী ব্যাংকের এবং চেকে নাম ছিল মিজানুর রহমান। এরপর আমরা অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে ওই চেক মালিক মিজানুর রহমানকে থানায় ডেকে এনে তার হাতে চেক দুটি প্রদান করা হয়।
চেক দুইটির মালিক মিজানুর রহমান জানান, রাস্তায় চেক দুটি কখন পড়ে গেছে বুঝতেই পারিনি। বিভিন্ন স্থানে খুঁজেও চেক পাচ্ছিলাম না। বিষয়টি অগ্রণী ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে অবগত করার আগেই ব্যাংক হতে আমাকে মোবাইলে বিষয়টি জানিয়ে সদর থানায় যেতে বলে। থানায় এসে নিজেই অবাক হয়ে যাই একজন রিক্সা চালক চেক দুইটি কুঁড়িয়ে পেয়ে থানায় জমা দিয়েছেন জেনে।
তিনি বলেন, ইচ্ছা করলে হয়তো রিক্সা চালক ব্যাংকে গিয়ে টাকা উত্তোলন করতে পারতো। আমি ওই রিক্সা চালককে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার দিতে চাইলে রিক্সা চালক সেটি নেননি। নীলফামারীতে এমন সৎ ও ভাল মনের রিক্সা চালক আছে এটি জেনে অবাক হলাম।
বিবার্তা/সুজন/জহির
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]