নাটোরের গুরুদাসপুরের সোহাগ ও জুলিয়া দু’জন দু’জনকে ভালবাসতেন। তারা রাজশাহীতে পড়ালেখা করতেন। সোহাগ পড়ে পলিটেকনিক্যালে আর জুলিয়া সিটি কলেজে। এক পর্যায়ে সোহাগ জুলিয়াকে বিয়ে করতে চায়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথাবার্তা চলছিলো।
সোহাগ (১৯) পৌর সদরের আনন্দনগর গ্রামের গেন্ডারী বিক্রেতা শফিকুল ইসলামের ছোট ছেলে ও জুলিয়া (১৭) খামারনাচকৈড় মহল্লার জহুরুল ইসলাম ওরফে দুদু ড্রাইভারের মেয়ে।
কিন্তু বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) হঠাৎ সোহাগের বাড়িতে স্বামীর মর্যাদার দাবীতে অবস্থান নেয় জুলিয়া। এতে চমকে যায় সোহাগ। জুলিয়াকে দেখতে আসে শত শত মানুষ।
এরপর সারাদিন না খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে জুলিয়া। এতে সোহাগের পরিবার ওপরে ঠিকঠাক থাকলেও ভেতরে ভেতরে জুলিয়াকে মেনে নিতে রাজি ছিলনা।নানা গুঞ্জন, চাপ আর ক্ষোভে সোহাগ রাত সাড়ে ১২টার দিকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। সোহাগের অপমৃত্যুতে সকল প্রক্রিয়া ভেস্তে যায়।
অপরদিকে, প্রেমিকের আত্মহত্যার কথা শুনে শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সকালে হারপিক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে জুলিয়া। এরপর তাকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়।
বিবার্তা/আবদাল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]