পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার বাদী ওই গৃহবধূর স্বামীকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্য ও স্বজনেরা জানান, স্ত্রীর নির্যাতনের ঘটনায় বখাটেদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করায় স্বামীকে মারধর করেছে তারা। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার পশ্চিম চাপলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

জানা যায়, স্থানীয় ধুলেশ্বর বাজারের ইউনিয়ন পরিষদের সামনের একটি চায়ের দোকানে ওই মামলার বাদীকে আসামিরা লোহার রড দিয়ে পেটায়। তারা চলে গেলে স্থানীয় রুবেল নামে এক দোকানি মোটরসাইকেল ভাড়া করে আহত ব্যক্তিকে বাড়ি পৌঁছে দেয়।

আহত ব্যক্তির চাচাতো ভাই বলেন, আহত অবস্থায় প্রথমে ভাইকে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। কিন্তু সেখানে সন্ত্রাসীদের বাধার মুখে পরে চিকিৎসা নিতে পারিনি। পরে বরগুনার আমতলী এসে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়া হয়। সেখান থেকে আনা হয়েছে বরিশাল হাসপাতালে।

তিনি জানান, চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল রাতে তার ভাইকে মারধর করে ভাবিকে তুলে নিয়ে যায় বখাটেরা। পরে তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়। এ ঘটনায় ১৬ এপ্রিল ধর্ষিতার স্বামী বাদী হয়ে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা করেন।

মামলায় একই এলাকার মৃত মনু মাঝির ছেলে শাহ আলম, মনির হাওলাদারের ছেলে শাহীন, রবিউল, আল-আমিন, আব্দুর রশিদ, শাকিলসহ বেশ কয়েকজনকে আসামি করা হয়।

এ মামলায় কয়েকজন জেলে গেলেও মামলার বাদীর বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করে আসামিরা। এমনকি ধর্ষণ মামলা তুলে নিতেও একাধিকবার হুমকি দেয় তারা।

মহিপুর থানার ওসি সোহেল আহমেদ বলেন, ঘটনা শুনে আমি আহত ব্যক্তিকে বরিশাল হাসপাতালে ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করেছি। আর এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করতে অভিযান চলছে।

বিবার্তা/এরশাদ/জাই