কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌর এলাকার কালীপুর গ্রামে একই পরিবারে ৪ ভাই-বোনসহ ৫ জনই প্রতিবন্ধী।
বোবা প্রতিবন্ধী এক ভাইয়ের সামান্য রোজগারে কোনো রকম খাবার জুটে পরিবারের ১১ সদস্যের। মাঝে মাঝে না খেয়েও থাকতে হয় তাদের।
প্রতিবন্ধীরা হলেন- কালিপুর গ্রামের মৃত ওসমান গণীর ছেলে গোলাম হোসেন, কন্যা রহিমা বেগম (৪২), জায়েদা বেগম (৩৬) ও সাজেদা বেগম (৩২)।
গোলাম হোসেন বলেন, আমরা চার ভাই-বোন জন্ম থেকেই অন্ধ। পৃথিবীর কোনো কিছুই আমরা দেখতে পাই না। জন্মের পর আমার পিতা আমার চোখের আলো ফিরানোর জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় উন্নত চিকিৎসা করিয়েছেন। কিন্তু কাজ হয়নি। তাই আমার চোখের পরিবর্তন না আসায় ছোট ৩ বোনেরও চিকিৎসা করানো হয়নি। কারণ আমার পিতার যা ছিলো সব কিছু আমার চোখের চিকিৎসায় খরচ করে ফেলেছেন।
তিনি বলেন, ভৈরব উপজেলা সমাজ সেবা অফিস থেকে প্রতিবন্ধী হিসেবে তিন বোন তিন মাস পরপর ২১০০ টাকা করে সরকারি ভাতা পায়, কিন্তু আমি ভাতা পাই না। এই টাকাগুলো দিয়ে এবং আমার ছোট ভাই (বোবা প্রতিবন্ধী) কামরুল (২৪) দিন মজুরী করে কোনো রকম সংসার চলে।
জন্মান্ধ জায়েদা বেগম বলেন, মহান আল্লাহ আমাদের জন্মান্ধ হিসেবে দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন আর যেন কাউকে না পাঠায়। সরকার তিন মাস পর পর ২১০০ টাকা করে ভাতা দেয় কিন্তু এ টাকায় দু’বেলা খাবর জুটে না। সরকার যদি আমাদের উন্নত চিকিৎসা এবং চলার মতো অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করত তাহলে অনেক উপকার হতো।
বিবার্তা/শামীম/আবদাল/জহির
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]