চাকরি দেয়ার নাম করে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার চরমানিকা গ্রামের ২০ বছরের এক যুবতীকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহম্মদ (২৫) নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

রবিবার (২৫ আগস্ট) ধর্ষণের ঘটনায় যুবতী বাদী হয়ে চরফ্যাশন থানায় ৩ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন।

গ্রেফতারকৃত আহম্মদ চরফ্যাশন পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের ফজলু কসাইয়ের ছেলে।

পুলিশ জানায়, চরমানিকা গ্রামের ২০ বছরের এক যুবতীকে চরফ্যাশন পৌর সভার ৮নং ওয়ার্ডের সালমা চাকরি দেয়ার নামে ১০ হাজার টাকা নেয়। পরে যুবতীকে শনিবার বিকালে সালমার বাড়িতে দেখা করতে বলে। সেখানে গেলে আহম্মদসহ আরো তিনজন তাকে ধর্ষণ করে।

পরে ওই যুবতীর অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সহকারী পুলিশ সুপার (চরফ্যাশন সার্কেল) শেখ সাব্বির হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ আহম্মদকে পৌর সভার ৮নং ওয়ার্ডের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সালমা তার বাসায় দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন অপকর্ম করে চলছে। কেউ এই বিষয়ে কথা বললে তাদের উপর চড়াও হয়।

চরফ্যাশন থানার ওসি সামসুল আরেফিন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, পৌর সভার ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সালমা নিজ ঘরে নিয়ে চরমানিকা গ্রামের এক যুবতীকে গণধর্ষণে সহায়তা করেছে। তাকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে থানা আনা হয়েছে। ধর্ষণের অভিযোগে আহম্মদসহ ৩ জনকে সনাক্ত করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ওসি বলেন, গ্রেফতারকৃত আহম্মদকে সোমবার সকালে আদালতে পাঠানো হবে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বিবার্তা/শাহীন/জহির