শিরোনাম
টাঙ্গাইলে ভাই-বোন মিলে প্রবাসী যুবককে খুন
প্রকাশ : ২১ আগস্ট ২০১৯, ২১:৫৩
টাঙ্গাইলে ভাই-বোন মিলে প্রবাসী যুবককে খুন
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

টাঙ্গাইলের কালিহাতিতে পরকীয়া ও টাকা চাওয়ায় ভাই-বোনের হাতে খুন হয়েছেন মোশারফ মিয়া (২৫) নামের সৌদি প্রবাসী যুবক। খুনের ১৭ দিন অতিবাহিত হলেও লাশ উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।


নিহত যুবক ঘাটাইল উপজেলার দিগড় ইউনিয়নের মাইদারচালা নয়াবাড়ি গ্রামের সেকান্দর আলীর ছেলে।


খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একই গ্রামের সৌদি প্রবাসী ইসমাঈল হোসেনের স্ত্রী নাছিমা (৩৫) ও তার ভাবী সোনিয়াকে গ্রেফতার করেছে কালিহাতি থানা পুলিশ।


মামলার অন্যতম আসামি নাছিমার ভাই কালিহাতি উপজেলার বীরবাসিন্দা গ্রামের মৃত মেছের আলী মণ্ডলের ছেলে ভিয়াইল মাদ্রাসার শিক্ষক আকতার হোসেন পলাতক রয়েছেন।


পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ৪ আগস্ট রবিবার বিকেলে কদমতলী গরুর হাট থেকে ফেরার পর রাত ৯ টায় নিখোঁজ হন প্রবাসী মোশারফ মিয়া। পরদিন ঘাটাইল থানায় নিখোঁজ জিডি করা হয়। জিডি ও মোবাইলের কল লিস্টের সূত্র ধরে প্রতিবেশী নাছিমা (৩৫) কে ১৬ আগস্ট রাতে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে মোশারফের সাথে পরকীয়ার কথা স্বীকার করেন নাছিমা।


৪ আগস্ট রাতে মোশারফকে ডেকে নিয়ে নাছিমা ও তার ভাই আকতার মিলে তাকে খুন করে। ১৭ আগস্ট বিষয়টি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন নাছিমা। এদিকে এ ঘটনায় নাছিমার ভাবী আকতারের স্ত্রীকেও আটক করে পুলিশ। তাকে দুই দিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করে আদালত।


মামলার বাদী নিহত মোশারফের ছোট ভাই কলেজছাত্র সজিব মিয়া বলেন, ২০১২ সাল থেকে আমার ভাই সৌদিতে ছিলেন। তার অধিকাংশ টাকা-পয়সা নাছিমাকে পাঠিয়েছেন। এবার রমজান মাসে দেশে ফিরে টাকা ফেরত চাইলে নাছিমা ও তার ভাই মিলে আমার ভাইকে খুন করেছেন। আমরা এর উপযুক্ত বিচার চাই।


মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কালিহাতি থানার উপ-পরিদর্শক নাসির উদ্দিন বলেন, ৪ আগস্ট রাতে মোশারফ মিয়াকে হত্যা করে কালিহাতির গজারিয়া বিলে লাশ গুম করে। পরকীয়া ও পাওনা টাকা চাওয়া থেকেই এ খুনের ঘটনা ঘটেছে। মোশারফের ভাই সজিব মিয়া বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এ হত্যাকাণ্ডে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নাছিমা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি জেল হাজতে আছেন। আর নাছিমার ভাবী সোনিয়াকে দুই দিনের রিমান্ডে নেয়া হলে তার স্বামী আকতার হোসেন ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত আছে বলে জানিয়েছেন।


তিনি আরো বলেন, লাশের নখ ও পায়ের চামড়া পাওয়া গেলেও লাশটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক পলাতক রয়েছেন।


বিবার্তা/তোফাজ্জল/তাওহীদ


সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com