
জীবনে কখনো গালিগালাজ করেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। স্বস্তির নিঃশ্বাস কিংবা হতাশা, যাই প্রকাশ করতে চাই না কেন, এসব ক্ষেত্রে গালি দেয়া কথাবার্তার একটা বড় অংশ হয়ে দাঁড়ায়।
ইউক্রেনের ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. উলানা সুপ্রুন বলেছেন, এ ধরনের শব্দ ব্যবহার করা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে। কারণ এ ধরণের শব্দের ব্যবহার, দুটি মানুষের মধ্যে দৃঢ় সুসম্পর্ক ও ভালো মানসিক যোগাযোগ নিশ্চিত করে।
গণমাধ্যমে জন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের প্রকাশ্যে গালিগালাজ করা বন্ধ করতে এমপি ওলহা বোহোমোলেটসের আনা প্রস্তাবিত নতুন আইনের প্রতিক্রিয়ায় এমন মন্তব্য করেন তিনি।
প্রস্তাবিত ওই আইনে বলা হয়, টেলিভিশন ও ভাষণে কেউ গালিগালাজ করলে তার বিরুদ্ধে ১২শ ৭৫ ইউক্রেনীয় রিভনিয়াস বা ৩৯ পাউন্ড পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
কিন্তু ডা. সুপ্রুনের মতে, বিশেষ পরিস্থিতিতে ভর্ৎসনা করা যেতে পারে। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গালিগালাজে ব্যবহৃত শব্দগুলো দিয়ে ওই মানুষগুলোর একে অন্যের ঘনিষ্ঠতা এবং তাদের মধ্যে ভালো মানসিক যোগাযোগ রয়েছে বলে বোঝা যায়।
তিনি বলেন, মানুষের বিশ্রী ভাষা ব্যবহারের চেয়ে বরং আগ্রাসী মনোভাব দূর করতে কাজ করা উচিত।
এ বিষয়ে তার দেয়া ফেসবুক পোস্টে ২১ হাজারেরও বেশি মানুষ রিঅ্যাক্ট করেছে। এই পোস্টের সবচেয়ে জনপ্রিয় কমেন্ট ২৭শ বার লাইক দেয়া হয়েছে। যাতে বলা হয়েছে, ডা. সুপ্রুনের পোস্ট দেখে হয়তো ভর্ৎসনা করেছেন বোহোমোলেটস।
যদিও নতুন আইনটিতে জনপ্রিয় ব্যক্তিদের সম্পর্কেই বলা হয়েছে, তবুও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই, এটি কিভাবে তাদের জীবন পাল্টে দিতে পারে, তা নিয়ে মজা করেছেন।
ইয়েবহেন হালাহান বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছেন, গালিগালাজবিরোধী আইন পাস হলে বাসিন্দারা ইউক্রেনের নিত্য দিনের জীবনযাত্রা নিয়ে কিভাবে কথা বলবে।
অনেকেই আবার এমন এক কল্পিত বিশ্বের কথা তুলে এনেছেন যেখানে মানুষ বিশেষ কিছু জায়গায় গালিগালাজ করতে পারবে।
সাংবাদিক ইয়েভহেন মুডঝাইরি বলেন, অফিসে গালির কক্ষ স্থাপন করা যেতে পারে। রেস্টুরেন্টে থাকা ধূমপায়ী ও অধূমপায়ীদের জন্য আলাদা জায়গার মতোই গালিগালাজ করার জন্যও আলাদা জায়গা করা যেতে পারে।
তিনি কৌতুক করে বলেন, গালিগালাজবিরোধী সার্টিফিকেট না থাকলে শিশুদের স্কুলে ভর্তি করা হবে না। আর ইউক্রেনে শুধু সেই গাড়িগুলোই আমদানি করা হবে যেগুলোতে গালিগালাজবিরোধী বোতাম থাকবে।
তবে অনেকেই আবার স্বভাবসিদ্ধভাবেই নতুন এই আইনকে বাজে ভাষায় গালা-গাল করেছেন।
বর্তমানে ইউক্রেনের পার্লামেন্ট কমিটির বিবেচনাধীন রয়েছে এই আইনটি। সূত্র: বিবিসি
বিবার্তা/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]