
চীনের দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলের প্রদেশ ইউনানে গত জুনে অনেকগুলো নোটের টুকরাগুলো প্রদেশের কুনমিং এলাকার ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক অব চায়নায় (আইসিবিসি) নিয়ে হাজির হন এক নারী। তাঁর নাম ঝ্যাং।
তিনি জানান, পাঁচ বছর আগে নোটগুলো টুকরা টুকরা করেন তাঁর ভাইয়ের স্ত্রী। তিনি মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন, সম্প্রতি মারা গেছেন।
তবে, একটি–দুটি নয়, পুরো ৩২ হাজার ইউয়ান কেটে টুকরা টুকরা করেছিলেন চীনের এক নারী। বাংলাদেশের হিসাবে এই অর্থ নেহাত কম নয়, ৫ লাখ ২০ হাজার টাকার মতো। তবে বলিহারি ধৈর্যের জন্য বাহবা দিতেই হবে ব্যাংকের কর্মকর্তাদের।
পুরো ২২ দিন সময় নিয়ে নোটগুলো জোড়া লাগিয়েছেন তাঁরা।
ঝ্যাংয়ের ওই ভাইয়ের চার সন্তান রয়েছে। তাঁরা এখন বাস করেন সিচুয়ান প্রদেশে পর্বতঘেরা এক গ্রামে। তাঁদের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। নোটগুলো অক্ষত থাকলে বড় সুবিধা হতো তাঁদের। তাই এগুলো পরিবর্তন করতে স্থানীয় বেশ কয়েকটি ব্যাংকের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ঝ্যাংয়ের ভাই। তবে কেউই তা বদলে দিতে রাজি হননি।
কুনমিংয়ের আইসিবিসি ব্যাংকে গিয়ে আশার আলো দেখতে পান ঝ্যাং। ব্যাংকটির কর্তৃপক্ষ কাটা নোটগুলো জোড়া লাগাতে রাজি হয়। এ দায়িত্ব দেওয়া হয় চার কর্মকর্তাকে। তাঁদের একজন বলেন, ‘এর আগে নোটের এত টুকরা আমরা কখনো দেখিনি। এক লাখের বেশি টুকরা ছিল। কিছু টুকরা আবার খুবই ছোট। আমরা ২২ দিন কাজ করেছি।’
অবশেষে ৩২ হাজার ইউয়ান মূল্যের নোটগুলো জোড়া লাগানো হয়। ব্যাংকটির কর্মকর্তাদের এ পরিশ্রমের জন্য তাঁদের ধন্যবাদ দিতে ভোলেননি ঝ্যাং। ব্যাংকটিতে একটি ব্যানার পাঠিয়েছেন। চীনা ভাষায় তাতে লেখা, ‘আপনারা মানুষের সমস্যা বিবেচনায় নিয়েছেন, তার সমাধান করেছেন এবং হৃদয় জিতে নিয়েছেন।’
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]