পুরো বাড়িতে বাস করে মাত্র একটি পরিবার। এর সদস্যসংখ্যা এখন ১৯৯।
ভারতের মিজোরামের প্রত্যন্ত গ্রাম বাক্তোয়াংয়ে রয়েছে পাঁচতলা এক ভবন। সেই ভবনের কথাই বলছি, ভবনটিতে প্রায় ১০০টি কক্ষ রয়েছে। বাড়িটি এখন পর্যটকদের আকর্ষণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
এই পরিবারের কর্তা ছিলেন জিওনা চানা। উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের জটিলতায় ২০২১ সালে ৭৬ বছর বয়সে মারা যান জিওনা। তাঁর বাবা ‘চানা পল’ নামে একটি স্বতন্ত্র মতাদর্শের সম্প্রদায় প্রতিষ্ঠা করেন। জিওনা ছিলেন সেই সম্প্রদায়ের সদস্য। এই মতাদর্শের প্রায় দুই হাজার অনুসারী রয়েছেন। তাঁদের বেশির ভাগ এই গ্রামেই বাস করেন।
জিওনা ১৭ বছর বয়সে প্রথম বিয়ে করেন। এমনও বলা হয়, এক বছরে তিনি ১০টি বিয়ে করেছেন। আর ২০০৪ সালে সর্বশেষ বিয়ে করেন। তাঁর এই স্ত্রীর বয়স ছিল ২৫ বছর।
জিওনা এখন না থাকলেও তাঁর পরিবারটি একসঙ্গে থাকার ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। যখন পুরো পরিবার একসঙ্গে খেতে বসত, সেই মহাযজ্ঞ ছিল হোস্টেল মেসের মতো। সবাই একেক টেবিলে বসে সারিবদ্ধভাবে খেতেন।
এত বড় পরিবার হওয়া সত্ত্বেও জিওনা ২০১১ সালে রয়টার্সকে এক সাক্ষাৎকারে তাঁর পরিবারকে আরও বড় করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি আমার পরিবারকে বড় করতে প্রস্তুত। তাই বিয়ে করতে যেকোনো পর্যায়ে যেতে রাজি। আমাকে অনেকে মিলে যত্ন করে, দেখভাল করে।’
স্থানীয় ব্যক্তিরা বলেন, জিওনার শোবার ঘরের কাছে একটি ডরমিটরিতে স্ত্রীরা থাকতেন। তাঁর চারপাশে সব সময় সাত-আটজন স্ত্রী থাকবেন, এটা তিনি বেশ পছন্দ করতেন। এই দীর্ঘ জীবনে তিনি ৩৮টি বিয়ে করেছেন, ৮৯ সন্তানের বাবা হয়েছেন এবং ৩৬ নাতি-নাতনি দেখে গেছেন।
ভারতের আইনে বহুবিবাহ অবৈধ। তবে দেশটির উত্তর–পূর্বে কিছু উপজাতি সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রথাগত আইনে বহুবিবাহ বৈধ এবং রাজ্য সরকারও সেটির অনুমোদন দেয়।
সূত্র : আল-জাজিরা
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]