লা লিগার শিরোপা জয়ের ভাগ্যটা বার্সেলোনার হাতে ছিল না। কারণ মৌসুমের শেষ ম্যাচে তারা শুধু জিতলেই চলত না, রিয়াল মাদ্রিদকেও তাদের শেষ ম্যাচে হারতে হত। কিন্তু ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো সেই সুযোগ দেননি। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেইরিয়ালের শিরোপা জয়ের মঞ্চ সাজিয়ে দেন পর্তুগিজ এ তারকা। ফলে এইবারের বিপক্ষে পাওয়া জয়টা কেবল সান্ত্বনা হয়েই থাকল মেসিদের।
রবিবার রাতে ন্যু ক্যাম্পে এটিই ছিল বার্সেলোনা কোচ লুইস এনরিকের শেষ ম্যাচ। ঘরের মাঠে কোচের বিদায়ী ম্যাচে লিওনেল মেসির জোড়া গোলে এইবারকে ৪-২ ব্যবধানে হারায় বার্সা। অন্যদিকে মালাগাকে তাদের মাঠেই ২-০ গোলে হারিয়ে পাঁচ বছর পর লিগ শিরোপা জিতে রিয়াল মাদ্রিদ। যদিও শিরোপা জিততে রিয়ালের শুধু ড্র করলেই চলত।
ঘরের মাঠে বার্সার প্রথম শর্ত ছিল অবশ্যই জিততে হবে। সে সঙ্গে রিয়ালের পরাজয় কামনা করতে হবে। কিন্তু শুরুতেই পরাজয়ের শঙ্কা পেয়ে বসে বার্সাকে। ম্যাচের সপ্তম মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে বার্সা। বক্সের ভেতরে বাঁ দিক থেকে জোরালো শটে গোল করে এইবারকে এগিয়ে দেন জাপানি মিডফিল্ডার তাকাশি ইনুই। প্রথমার্ধের বাকি সময় ওই গোলটি আর শোধ করতে পারেনি মেসিরা। সুযোগ কিন্তু কম পায়নি। তবে দারুণ কিছু সেভ করে এইবারের ত্রাতা গোলরক্ষক রদ্রিগেজ।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের ৬১ মিনিটে আবার বার্সা শিবিরে ধাক্কা। ওই তাকাশি ইনুইয়ের একই জায়গা থেকে করা দ্বিতীয় গোলে বার্সা পিছিয়ে পড়ে ২-০ ব্যবধানে। দুই মিনিট পর এইবারের জুনকা করে বসেন আত্মঘাতী গোল। তাতে ব্যবধান কমে বার্সার।
৭০ মিনিটে দলকে সমতায় ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিলেন মেসি। কিন্তু আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেন রদ্রিগেজ। এই মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এটিই মেসির প্রথম কোনো পেনাল্টি মিস।
তিন মিনিট পরই অবশ্য স্বাগতিকদের সমতায় ফেরান শুরু থেকে বেশ কিছু সুযোগ নষ্ট করা সুয়ারেজ। পরের মিনিটে এইবারের আন্দ্রে রদ্রিগেজ নেইমারকে ফাউল করলে আবার পেনাল্টি পায় বার্সা। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন রদ্রিগেজ। এবার আর ভুল করেননি মেসি। পেনাল্টি থেকে গোল করে এগিয়ে দেন দলকে।
বাকি সময়ে ১০ জনের দল এইবারকে আরো চেপে ধরে বার্সা। যোগ করা সময়ে লিগে নিজের ৩৭তম গোলটি করেন মেসি। বল পেয়েছিলেন মাঝমাঠে। সেখান থেকে বল টেনে নিয়ে গিয়ে এইবারের তিনজন খেলোয়াড়কে কাটিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন বার্সা ফরোয়ার্ড। ততক্ষণে অবশ্য মালাগার মাঠে শিরোপা জয়ের উৎসব শুরু হয়ে গেছে রিয়ালের।
শিরোপা জিততে না পারলেও লা লিগার শেষ ম্যাচে দারুণ এক গোলের রেকর্ড গড়েছেন এনরিক শিষ্যরা।
লা লিগায় বার্সেলোনার এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের সংখ্যা ছিল ১১৫টি। এইবারের বিপক্ষে ন্যু ক্যাম্পে গত রাতের ম্যাচটি বাদ দিয়ে এবার বার্সার গোল ছিল ১১২টি। ২০১২-১৩ মৌসুমে গড়া এই রেকর্ডটা এবার ভাঙল বার্সা। এই মৌসুমে বার্সার এখন গোল সংখ্যা ১১৬টি। এর মধ্যে মেসি-নেইমার-সুয়ারেজের গোল সংখ্যা ১০৮টি।
বিবার্তা/নিশি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]