যে কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে গেছে বাংলাদেশ
প্রকাশ : ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৪:৪২
যে কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে গেছে বাংলাদেশ
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

ব্যাপারটা অনেকটা প্রতিপক্ষের জন্য গর্ত খুঁড়ে তাতে নিজেরাই উল্টে পড়ে যাওয়ার মত। মিরপুরে টেস্ট শুরুর আগের দিন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেছিলেন, উইকেট যেমন হয় তেমনই থাকবে। তবে এই ম্যাচে কথা বলেনি শান্তর ব্যাট। সে কারণেই হয়তো তিনি আর কথা না বলতে আসেননি। এসেছিলেন ৯৭ রানের ইনিংস খেলা মেহেদী মিরাজ। সংবাদমাধ্যমে তিনি উইকেট বুঝতে না পারার কথা জানিয়েছেন ।


উপমহাদেশের বাইরের দল দক্ষিণ আফ্রিকা এই অঞ্চলে দশ বছর টেস্ট জেতে না, অনভিজ্ঞতায় ভরা দলটিকে স্পিন বান্ধব উইকেটে কুপোকাত করতে চেয়েছিল বাংলাদেশ। একাদশে তিন স্পিনারের সঙ্গে মাত্র এক পেসার নিয়ে খেলতে নেমেছিলো তারা। তবে সেটা পরে হয়েছে বুমেরাং।


মিরাজ বলেন, ‘আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম মিরপুরের উইকেট টার্নিং হবে। আমরা সব সময় প্রভাব বিস্তার করে এসেছি। এর আগেও খেলেছি আমরা এক পেসার নিয়ে। এমন না যে এবারই প্রথম খেললাম। সেই প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি।’


অর্থাৎ উইকেট বাংলাদেশের চাওয়া অনুযায়ী এতটা টার্নিং ছিলো না। বরং আবহাওয়ার কারণে পেসাররা সিম মুভমেন্ট পেয়েছেন। কাগিসো রাবাদা ম্যাচে নিয়েছেন ৯ উইকেট, ৪ উইকেট নিয়েছেন ভিয়ান মুল্ডার। প্রোটিয়াদের প্রথম ইনিংসে হানা দিয়ে ৩ উইকেট নিতে পেরেছিলেন হাসান মাহমুদও।


হাসানের স্পেলের সময় আরেকজন পেসারের ঘাটতি টের পাওয়া যায় প্রবলভাবে। প্রথম ইনিংসে ১০৮ রানে দক্ষিণ আফ্রিকার ৬ উইকেট ফেলে দেওয়ার পর কাইল ভেরেইনা দাঁড়িয়ে যান। মুল্ডারকে নিয়ে আনেন ১১৯ রান, পরে ডেন পিটকে নিয়েও বড় জুটি করেন তিনি। তার সেঞ্চুরিতে ২০২ রানের লিড হয়ে যাওয়ার পর ম্যাচ থেকে অনেকটাই ছিটকে যায় বাংলাদেশ।


দ্বিতীয় ইনিংসে ১১২ রানে ৬ উইকেট পড়ার পর জাকের আলি অনিককে নিয়ে ১৩৮ রানের জুটিতে মিরাজ লড়াই করেছেন। দলের আশাও জাগিয়েছিলেন তিনি। তবে চতুর্থ দিনে আবার দেখা গেল পেসারদের দাপট।


রাবাদা আর মুল্ডার মিলে আধঘণ্টার ভেতর মুড়ে দেন বাংলাদেশের ইনিংস। ১০৬ রানের লক্ষ্য ৩ উইকেট হারিয়ে ২২ ওভারেই তুলে ম্যাচ জিতে নেয় সফরকারীরা। তাদের ৩ উইকেট পড়েছে অনেকটা মারতে গিয়ে। তাইজুল ইসলাম ম্যাচে ৮ উইকেট নিলেও বাংলাদেশের স্পিন খেলা খুব কঠিন হয়নি তাদের।


প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করাম দুই পেসার খেলানোর পরও বলছেন উইকেট এমন জানলে আরও এক পেসার নিতেন তারা, ‘এমন জানলে আরেকটা পেসার হয়ত খেলাতাম। আমার মনে হয় তারাও খেলাতো।’


মিরাজ অবশ্য শুধু পেসার ঘাটতির দায় দিচ্ছেন না। তিনি ও নাঈম হাসান প্রত্যাশা অনুযায়ী বল করতে পারেননি বলেও মনে হয় তার, ‘চার বোলার ছিলো, এক পেসার আর তিন স্পিনার। আমরা জানি মিরপুরে স্পিনাররা প্রভাব বিস্তার করে। কন্ডিশন ভিন্ন হয়ে গিয়েছে, ওরাও ভালো করেছে। হাসানও ভালো করেছে। আমরা যদি আরও ভালো করতাম, বিশেষ করে আমি। তাহলে কিন্তু এই প্রশ্নগুলো আসত না। আমিও অনেক ভালো বল করিনি। যে জিনিস আমার কাছ থেকে দল প্রত্যাশা করে যে ৬-৭ উইকেট নেবে, ম্যাচ জেতাবে।’


বিবার্তা/এনএইচ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com