
সড়ক দুর্ঘটনায় নাটোরের গুরুদাসপুরে একই পরিবারের তিন সদস্যের মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারে শোকের মাতম চলছে। গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে এখন কান্নার ধ্বনি আর অশ্রæসিক্ত চোখে স্বজনদের আহাজারি। নিমিষেই শেষ হয়ে গেলো হাস্যোজ্জ্বল পরিবারটি।
নিহতরা হলেন- গুরুদাসপুরের মকিমপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেন, তার স্ত্রী আঁখি আক্তার ও দুই বছরের শিশু কন্যা আন্নি খাতুন। গত মঙ্গলবার সকালে গাজীপুরের নাওজোড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তারা। পরিবারের বড় সন্তান আনোয়ার হোসেন ছিলেন বাবা খলিল হোসেনের একমাত্র ভরসা। পুত্র, পুত্রবধূ আর ফুটফুটে নাতনিকে হারিয়ে আজ শোকে ভেঙে পড়েছেন তিনি।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আনোয়ার হোসেন ময়মনসিংহে আরএফএল গ্রæপে গাড়ি চালকের চাকরী করতেন। স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সকালে শ্বশুরবাড়ি ঢাকার আশুলিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথিমধ্যে গাজীপুরের বাসন থানার নাওজোড় এলাকায় রিয়াজ ফিলিং স্টেশনের উত্তরে পৌঁছালে অটোরিকশার পেছনের চাকা খুলে যায়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেটি কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে ধাক্কা খায়। ঘটনাস্থলেই মারা যায় শিশু আন্নি। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পথে প্রাণ হারান আনোয়ার ও আঁখি।
নিহত আনোয়ারের বাবা বিলাপ করতে করতে বলেন, “আমার ছেলে সংসারটা নিয়ে কত স্বপ্ন দেখতো। সবকিছু মুহূর্তে শেষ হয়ে গেলো। এখন আমাকে প্রতি মাসে সংসারের খরচ কে দিবে, কে বাবা বলে ডাকবে। ফুটফুটে নাতনীও আর দাদা বলে ডাকবে না। আমার বেঁচে থাকার অবলম্বন একেবারেই হারিয়ে গেলো। এই শোক আমি ও আমার পরিবার সইবো কি করে বলতে বলতে আবারো কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।”
নিহতদের মরদেহ মঙ্গলবার রাতে প্রথমে ঢাকার আশুলিয়ায় নেওয়া হয়। সেখানে জানাজা শেষে গ্রামের বাড়ি গুরুদাসপুরে নিয়ে আসা হয় ভোর রাতে। সকাল ১০টায় দাফন সম্পুন্ন হয়েছে মকিমপুর গ্রামে।
বাসন থানার উপপরিদর্শক সানোয়ার হোসেন জানান, দুর্ঘটনায় জড়িত কাভার্ডভ্যান ও অটোরিকশা পুলিশ হেফাজতে আছে। গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একই পরিবারের তিন জনের মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।#
বিবার্তা/জনি/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]