
বাংলাদেশের নারী ফুটবলাররা একের পর এক ইতিহাস গড়ছেন। গত মাসে ঋতুপর্ণারা প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন। এবার আফিদা অনূর্ধ্ব-২০ দলকেও এশিয়ার চূড়ান্ত পর্বে উঠিয়েছেন। এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী টুর্নামেন্টে বাছাই পর্ব থেকে আট গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও সেরা তিন রানার্স আপ আগামী বছর মূল পর্বে খেলবে। বাংলাদেশ আট গ্রুপের সেরা রানার্স আপ দলগুলোর মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে থেকে মূলপর্ব নিশ্চিত করেছে।
আজ গ্রুপের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ড্র করলেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে পারত। ঐ ম্যাচে ১-৬ গোলের ব্যবধানে হেরে যাওয়ায় বাংলাদেশ ৬ পয়েন্ট ও ৫ গোল গড় নিয়ে অন্য গ্রুপের দিকে তাকিয়ে ছিল। 'ই' গ্রুপে চীন ও লেবানন দুই দলেরই সমান ৬ পয়েন্ট ছিল। ঐ ম্যাচ ড্র হলে বাংলাদেশ সংকটে পড়ত। চীন বড় ব্যবধানে জেতায় লেবাননের পয়েন্ট ৬ থাকলেও গোল গড় দাড়ায় -৬।
বি গ্রুপে কিরগিজস্তান ও ভিয়েতনামের ম্যাচটিও ছিল বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কিরগিজস্তান ঐ ম্যাচে জিতলে ভিয়েতনাম, কিরগিজস্তান ও হংকংয়ের সমান ৬ পয়েন্ট হতো। তখন হেড টু হেড হিসেবে কিরগিজস্তান গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতো। সেক্ষেত্রে ভিয়েতনাম গ্রুপ রানার্স আপ হলেও গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকার সুযোগ ছিল বাংলাদেশের চেয়ে। এত জটিলতা হয়নি ভিয়েতনাম ৩-০ গোলে জেতায় হংকংয়ের ছয় পয়েন্ট থাকলেও গোল গড় -৩।
এফ গ্রুপে ইরানেরও ছয় পয়েন্ট থাকলেও তাদের গোল গড় মাইনাস। এ এবং ডি গ্রুপের রানার্স আপ দলের পয়েন্ট মাত্র ৪। ফলে বাংলাদেশ বাকি তিন সেরা রানার্স আপ দলের মধ্যে রয়েছে।
সি গ্রুপে রানার্স আপ পজিশনে রয়েছে চাইনিজ তাইপে। তাদের পয়েন্ট ৬ আর গোল ব্যবধান ৭। তারা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই গোলের বেশি ব্যবধানে হারলে বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে পড়বে গোল ব্যবধানে। জি গ্রুপে উজবেকিস্তান-জর্ডানের পয়েন্টও ৬। দুই দলেরই গোল ব্যবধান যথাক্রমে ১৬ ও ১১। দুই দলের মধ্যকার ম্যাচে ৪-৫ গোলের ব্যবধানে হারলেও দুই দলই চূড়ান্ত পর্বে খেলতে পারবে।
বিবার্তা/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]