
মাহমুদুল হাসান জয় ও মুশফিকুর রহিম সকালটা দেখেশুনেই শুরু করেছিলেন। তবে সেট হয়ে যাওয়ার পরেও রাবাদার তিন বলে দুজনেই তাদের উইকেট হারান। ৪০ রান করে জয় দিলেন প্রথম স্লিপে ক্যাচ, এক বল পরেই বোল্ড মুশফিকুর রহিম (৩৪)। এরপর লিটন দাস ক্রিজে এসে দারুণ এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৭ রানে আউট। ৩ উইকেটে ১০৫ থেকে ৬ উইকেটে ১১২ রানে পরিণত বাংলাদেশ। ৭ রানের মধ্যে তিন ব্যাটারকে হারিয়ে মিরপুর টেস্টে এখন ইনিংস পরাজয়ের শঙ্কায় বাংলাদেশ।
২৩ অক্টোবর, বুধবার মাহমুদুল জয় ৩৮ আর মুশফিকুর রহিম ৩১ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেন। বাংলাদেশ পিছিয়ে ছিল ১০১ রানে। আগের দিন ৩ উইকেটে ১০১ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল বাংলাদেশ।
২০২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৪ রানে দুটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৭ বলে মাত্র ১ রান করে ফেরত যান ওপেনার সাদমান। এরপর ৩ বলে ০ রানে আউট হন মুমিনুল হক। দুই বাঁহাতিকেই ফেরান দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার কাগিসো রাবাদা। তৃতীয় ওভারের প্রথম ও চতুর্থ বলে তাদেরকে সাজঘরের পথ দেখান ডানহাতি প্রোটিয়া পেসার।
সাদমান ক্যাচ তোলেন শর্ট লেগে টনি ডি জর্জির হাতে। আর মুমিনুল খোঁচা দিয়ে ধরা পড়েন তৃতীয় স্লিপে ফিল্ডিং করা উইয়ান মুলদারের হাতে। প্রথম ইনিংসেও ব্যর্থ ছিলেন সাদমান আর মুমিনুল। ডাক (৪ বলে ০) মেরেছিলেন সাদমান। মুমিনুল আউট হয়েছিলেন ৪ রানে।
অধিনায়ক শান্ত প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ৭। দ্বিতীয় ইনিংসে তার উইলো থেকে এলো ২৩ রান। ৪৯ বলে ২ বাউন্ডারিতে ২৩ রান করেন শান্ত। তার আগে জয়কে নিয়ে ৯৮ বলে ৫৫ রানের জুটি গড়েছিলেন তিনি।
মঙ্গলবার শেরে বাংলায় ৬ উইকেটে ১৪০ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর কাইল ভেরেইনের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৩০৮ রান করে অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৪৪ বলে ১১৪ রানের ইনিংস খেলেন ভেরেইন।
বাংলাদেশের হয়ে ১২২ রান খরচায় ৫ উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম। ৩ উইকেট নেন হাসান মাহমুদ ও ২টি উইকেট শিকার করেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
এর আগে, খেলার প্রথম দিন ব্যাটিং ব্যর্থতায় প্রথম ইনিংসে মাত্র ১০৬ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ।
বিবার্তা/এনএইচ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]