ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকায় সব ধরনের ক্রিকেট থেকে এক বছর নিষিদ্ধ হয়েছেন পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ ইরফান। পাকিস্তান সুপার লিগে ম্যাচ পাতানোর সুনির্দিষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে তাকে নিষিদ্ধ করলো দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। এর আগেগত ১৪ মার্চ ইরফানকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করে কর্তৃপক্ষ।
নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি ইরফানকে ১০ লাখ পাকিস্তানি রুপি জরিমানাও করা হয়েছে। ৭ ফুট ১ ইঞ্চি লম্বা এই পেসারের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ কার্যকর হবে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ হওয়ার দিন থেকে।
বুধবার ইরফানের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানিয়েছে পিসিবি। তবে পিসিবি এক বিজ্ঞত্তিতে বলেছে, পিএসএলে দুর্নীতির চলমান তদন্তে যদি ইরফান সাহায্য করেন এবং পরবর্তীতে আর কোনো আইন না ভাঙেন তাহলে তার নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ছয় মাস কমে আসবে।
গত সপ্তাহে পিসিবি ট্রাইব্যুনালের সামনে হাজির হয়ে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের কথা স্বীকার করেন ইরফান। তিনি জানান, বেশ কয়েকবার জুয়াড়িদের কাছ থেকে তিনি ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পান। তবে নিজে ম্যাচ ফিক্সিং করেননি বলেও জানান এই দীর্ঘদেহী বোলার। কিন্তু অন্যায় প্রস্তাব পেয়ে কর্তৃপক্ষকে না জানানোর অপরাধে তাকে দোষী সাবস্ত্য করেন ট্রাইবুনাল।
আত্মপক্ষ সমর্থনে ইরফান দাবি করেন সময়ের অভাবে বোর্ডকে কিছু জানাতে পারেননি তিনি। কারণ গত বছরের সেপ্টেম্বরে তার বাবা মারা যান। এই সময় মানসিক অবস্থা ভালো ছিল না তার। আর এই বছর জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়া সফরে থাকার সময় তার মা মারা যান।
এর আগে, পিএসএলের এবারের আসরে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের দায়ে সাময়িক নিষিদ্ধ হন শারজিল খান ও খালিদ লতিফ। পিএসএল শুরুর পরেই তাদের পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো হয়। পেশোয়ার জালমির বিপক্ষে ম্যাচে চার বলে মাত্র এক রান করেন শারজিল। তার চেয়ে বড় কথা হচ্ছে, বেশ দৃষ্টিকটুভাবে আউট হন এই ব্যাটসম্যান। খালিদ লতিফের ফোন ও ল্যাপটপ তদন্ত করে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের আলামত পাওয়া গেছে।
২০১০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়ার পর পাকিস্তানের হয়ে ৪ টেস্ট, ৬০ ওয়ানডে ও ২০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেন ইরফান।
বিবার্তা/প্লাবন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]