
সিরিজের প্রথম ম্যাচের মতো আবারও ব্যাটিং বিপর্যয়ে জিম্বাবুয়ে। স্কোরবোর্ডে ৪২ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়েছিল তারা। টপ অর্ডার ব্যর্থতায় আরও একবার অলআউটের শঙ্কায় পড়েছিল জিম্বাবুয়ে। তবে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে সিকান্দার রাজার দল। এবার ব্রায়ান বেনেট ও জনাথন ক্যাম্পবেলের ব্যাটে বিপর্যয় সামাল দিয়েছে জিম্বাবুয়ে। সেইসঙ্গে দলকে এনে দিয়েছে সম্মানজনক পুঁজি।
৫ মে, রবিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৮ রান সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেছেন জোনাথন ক্যাম্পবেল। ১৮ রানে ২ উইকেট শিকার করে ইনিংসের সেরা বোলার তাসকিন আহমেদ।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে টাইগার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ধীরগতির শুরু করে জিম্বাবুয়ে। দেখেশুনে খেলতে থাকেন দুই ওপেনার তাদিওয়ানাশে মারুমানি ও জয়লর্ড গুম্বি। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে জিম্বাবুয়ে শিবিরে আঘাত হানেন পেসার তাসকিন আহমেদ। দলীয় ১৫ রানে ৪ বলে ২ রান করে সাজঘরে ফিরে যান মারুমানি। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন ক্রেইগ এরভাইন।
এরভাইনকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন গুম্বি। তবে ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই গাম্বিকে সাজঘরের পথ দেখান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। এরপর উইকেটে আসেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। তবে থিতু হওয়ার আগেই রিশাদ হোসেনের ঘূর্ণিতে দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়েছেন লিটন দাস।
আউট হওয়ার আগে ৩ রান করেন তিনি। বাইশ গজে এসেই উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন ক্লাইভ মাদানদে। রিশাদের ঘূর্ণিতে শূন্য রানে কাটা পড়েছেন তিনি। ব্যাট হাতে আশা দেখালেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি আরভিন। ১১তম ওভারে মাহেদী হাসানের ঘূর্ণিতে উইকেট বিলিয়ে দেন আরভিন। সাজঘরে ফেরার আগে ১৩ করেন এ ব্যাটার। ৪২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে জিম্বাবুয়ে।
সেখান থেকে আজই অভিষেক হওয়া জিম্বাবুইয়ান কিংবদন্তি অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেলের ছেলে জোনাথান ক্যাম্পবেল দলের হাল ধরেন। ব্রায়ান বেনেটকে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে ৪৩ বলে ৭৩ রান যোগ করে দিয়ে যান তিনি।
অবশেষে এই জুটিটা ভাঙেন শরিফুল ইসলাম। ছক্কা হাঁকাতে গিয়েছিলেন ক্যাম্পবেল। মিডউইকেট বাউন্ডারিতে সাইফউদ্দিনের ক্যাচ হয়ে ফেরেন এই অভিষিক্ত। ২৪ বলে ৪৫ রানের ঝোড়ো ইনিংসে ৪টি চার আর ৩টি ছক্কা হাঁকান ক্যাম্পবেল।
শেষদিকে ঝড় তুলেছেন বেনেট। ২৯ বলে ২ চার আর ৩ ছক্কায় ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন এই ব্যাটার।
তাসকিন আহমেদ ৪ ওভারে ১৮ আর রিশাদ হোসেন ৩৩ রানে শিকার করেন দুটি করে উইকেট। শরিফুল ৪ ওভারে দেন ২৬, শেখ মেহেদী ৪ ওভারে ১৮ আর মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ৪ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে নেন একটি করে উইকেট।
বিবার্তা/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]