কর্ণফুলীতে ব্যবসায়ীদের ভয় দেখিয়ে স্যানিটারি ইন্সপেক্টরের চাঁদাবাজি!
প্রকাশ : ০২ মার্চ ২০২৪, ১৮:২৫
কর্ণফুলীতে ব্যবসায়ীদের ভয় দেখিয়ে স্যানিটারি ইন্সপেক্টরের চাঁদাবাজি!
চট্টগ্রাম থেকে জে. জাহেদ
প্রিন্ট অ-অ+

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় কর্মরত স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মনোয়ারা বেগমের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে।


বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট, বেকারি ও চায়ের দোকানে স্বাস্থ্য পরীক্ষার নামে ভুয়া স্বাস্থ্যসনদ প্রদানসহ উপজেলার কয়েক শতাধিক দোকানপাট ও হোটেল মালিকদের কাছ থেকে প্রিমিসেস লাইসেন্সের নামে রসিদ ছাড়া অর্থ নেয়ার অভিযোগও তার বিরুদ্ধে।



শুধু কি তাই! কর্ণফুলী পাঁচ ইউনিয়নের প্রায় চব্বিশটি বড় খাদ্য কারখানাসহ তিন শতাধিক খাদ্যপণ্যের দোকানে মাসশেষে তার মাসোয়ারা খাড়া- যাদের সাথে তিনি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত আছেন। খোদ ব্যবসায়ীরাই বলেছেন, মাসে তার চাঁদার পরিমাণ ৬-৭ লাখ টাকার উপরে।


জানা যায়, হোয়াটসঅ্যাপে 'কর্ণফুলী ফুড এন্ড বেকারি এসোসিয়েশন' নামে একটি গোপন গ্রুপ আছে। যে গ্রুপের মাধ্যমে তিনি সবাইকে ম্যাজিস্ট্রেট আসার আগাম খবর জানান।


কর্ণফুলীতে খাদ্য পরিদর্শকের কোন ম্যাজিস্ট্রেট কিংবা উপজেলা প্রশাসন অভিযানে বের হলে আগেই তিনি ওই গ্রুপে খবর জানান- অমুক বাজারে ম্যাজিস্ট্রেট যাচ্ছে। এ ধরনের বেশ কিছু স্ক্রিনশট এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। যে গ্রুপে কর্ণফুলীর স্যানেটারি ইন্সপেক্টর তার দুটি নম্বর দিয়েই তথ্য আদান-প্রদান করতেন।


হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপটিতে কর্ণফুলীর বড় যে সব খাদ্য কারখানা ও প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিক যুক্ত রয়েছেন, প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- মাসুদ এগ্রো (বাংলাবাজার ঘাট), কিষোয়ান (কর্ণফুলী), বনফুল (মইজ্জ্যারটেক-ব্রিজঘাট), জে.বি. ওয়েল (চরপাথরঘাটা), স্মার্ট গ্রুপ (বোর্ড বাজার), নূর সুইটস (মইজ্জ্যারটেক), তিস্তা ফুড (তোতার বাপের হাট), মিষ্টিমেলা (সিডিএটেক) রসালো (সৈন্যেরটেক), ইয়াছিন বেকারি (কর্ণফুলী), হাসান বেকারি (জুলধা পাইপের ঘোড়া), ফ্রেশ এন্ড সেইফ (ব্রিজঘাট), বগুড়ার দই (মইজ্জ্যারটেক), আধুনিক বেকারি (কলেজ বাজার), বার আউলিয়া বেকারি (কর্ণফুলী), আনোয়ার বেকারি (মাস্টার হাট), ইলিগান বেকারি (টুলবক্স), হোসেন ফুড (সৈন্যেরটেক), আয়েশা বেকারি (খুইদ্যারটেক), মায়ের দো’আ (কর্ণফুলী), আলিফ বেকারি (বিএফডিনি রোড), নয়ন বেকারি (তোতারবাপের হাট), আনোয়ার পুষ্টি বেকারি (টুলবক্স), টুস্টার বেকারি (কালাইয়্যার দোকান), কর্ণফুলী বেকারি (ওভারব্রিজ) ও নুরী বাবা বেকারি (বোর্ড বাজার)।


ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের তথ্যমতে গত ১৬ ডিসেম্বর উপলক্ষ্যে তিনি গ্রুপের সবার কাছ থেকে দুই হাজার করে চাঁদা নিয়েছেন। যা তাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের চ্যাটিং স্কিনশটে প্রমাণ রয়েছে।


গত কয়েকদিনে উপজেলার ব্যবসায়ীরা স্থানীয় সাংবাদিকদের স্যানেটারি ইন্সপেক্টরের চাঁদাবাজির বিষয়ে তথ্য দিলে গ্রুপে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সেই স্যানেটারি ইন্সপেক্টর মনোয়ারা বেগম।


সর্বশেষ গত ১২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা ৫২ মিনিটে মনোয়ারা বেগম হোয়াইটঅ্যাপ গ্রুপে এসে লিখেন, ‘আমি চলে গেলে অন্যজন আসবে। বিএসটিআই আসবে। ভোক্তাধিকার আসবে। পরিবেশ আসবে। ফায়ার সার্ভিস আসবে। ভ্যাট আসবে। অবশেষে শহর থেকে নিরাপদ খাদ্য অফিসার আসবে। উনারা সবাই আমার কাছে লিস্ট চাচ্ছে। আমি দিয়ে দিব। আমি মোবাইল কোর্টে নাই বা থাকলাম। এবার আপনাদের জবাবদিহিতা আপনারা করেন- আমার সমস্যা নেই।’


অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, গত শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সরকারি ছুটির দিনে কর্ণফুলী এলাকার জুলধা জামতলা বাজারের শতাধিক দোকান থেকে প্রিমিসেন্স লাইসেন্স করানোর নামে ৫০০ টাকা করে চাঁদা তোলেন স্যানেটারি অফিসার মনোয়ারা বেগম ও তার ছোট ভাই মো. রায়হান। রায়হানের মুঠোফোনে কল করে চাঁদাবাজির বিষয়ে জানতে চাইলে সে কথা বলতে নারাজ। অথচ ওই দিনের চাঁদাবাজি থেকে বাদ যায়নি চায়ের দোকান, ফকিরনিরহাটের লাক্সারি নামের কুলিং কর্নারও। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে জামতলা বাজার জুড়ে। অনেকেই বিষয়টি মৌখিকভাবে উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েছেন।


এ বিষয়ে জামতল বাজার সমিতি সভাপতি মো. সেলিম ও সম্পাদক মো. মনির বিবার্তাকে বলেন, 'দোকানদারদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে গেছে বিষয়টি সত্য। আমাদেরকে সব দোকানদার বলেছেন। একটা ছেলে ও মনোয়ারা বেগম টাকা তুলে নিয়ে গেছেন। এর আগেও প্রায় সময় সে নিজে এসেও টাকা নিয়েছেন। আমরা দোকানদারদের সাথে বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে বসব। তারপর প্রয়োজনে লিখিত অভিযোগ দেবো।'


তথ্য বলছে, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মনোয়ারা বেগম ২০১৯ সালে থেকে কর্ণফুলী উপজেলায় কর্মরত। সে সুবাদে গত ৬ বছর ধরে সে এই উপজেলায় বিভিন্ন অনিয়মে জড়িত। যদিও তার কর্মপরিধির মধ্যে রয়েছে, উপজেলা ভিত্তিক খাদ্য স্থাপনা পরিদর্শন, দৈনন্দিন রিপোর্ট প্রদান, খাদ্য নমুনা সংগ্রহ ও ল্যাবে প্রেরণ, নমুনা ভেজাল হলে আদালতে মামলা দায়ের, পচা-বাসি ও মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যপণ্য জব্দ এবং ধ্বংস করা, সংক্রামক ছোঁয়াচে রোগের কারণ অনুসন্ধান, স্কুল ও কমিউনিটিতে স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন করা ইত্যাদি। কিন্তু তিনি সেই দায়িত্ব পালন না করে উপজেলার বিভিন্ন হোটেল ও বেকারিতে গিয়ে কর্মচারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ দেখানো এবং লাইসেন্সের কথা বলে মালিকদের কাছ থেকে রসিদ ছাড়া মোটা অংকের টাকা আদায় করেন বলে অভিযোগ আছে।


এই স্যানেটারি ইন্সপেক্টরকে আবার ব্যবসায়ীদের অনেকেই ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে জানেন। কারণ তার হাবভাব এমন যে, তিনিই নিজেই মহা-ম্যাজিস্ট্রেট। যার চাঁদাবাজির তালিকায় রয়েছে নগদ অর্থ, বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য এমনকি শুঁটকি মাছও।


সরেজমিনে উপজেলার কয়েকটি বাজারে গেলে কর্ণফুলীর দোকানদাররা জানান, মাসের শেষদিনে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কর্ণফুলীতে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও রায়হান নামে কিশোর উপজেলার প্রতিটি দোকান-কারখানা চষে বেড়ান। আদায় করেন মাসোয়ারা। চাঁদা না দিলে ভয় দেখানো হয় ম্যাজিস্ট্রেটের। নয়তো হয়রানি ও মামলা। যে কারখানা বা প্রতিষ্ঠান তার চাহিদামতো মাসিক চাঁদা দিতে রাজি হবে না, সে প্রতিষ্ঠানকে টার্গেট করে অভিযান চালান তিনি। উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কিংবা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটকে স্পটে নিতে না পারলে, পরে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ম্যাজিস্ট্রেট এনে হানা দেন তিনি। জরিমানা করে বসেন লাখ লাখ টাকা। স্যানিটারি ইন্সপেক্টরের এমন চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে কর্ণফুলীর সাধারণ ব্যবসায়ীরা। তার ভয়ে কেউ মুখ খোলারও সাহস পাচ্ছে না।


প্রতিবেদকের অনুসন্ধানে আরো বেরিয়ে আসে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর কর্ণফুলীর বহু সমালোচিত এই স্যানিটারি ইন্সপেক্টরের তথ্যে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুস সোবহান নূর সুইটস প্রতিষ্ঠানটিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এক লক্ষ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দেন। যার মামলা নম্বর-০৮/২০২৩ (কর্ণফুলী)। দোষী ব্যক্তি নূর সুইটস এর ম্যানেজার বাঁশখালী উপজেলার ফরিদ আহমেদের ছেলে মো. রাজীব। তখন মনোয়ারা বেগম কর্ণফুলী উপজেলায় স্যানিটারি ইন্সপেক্টর হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন বলে অভিযানে নিশ্চিত করেন। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে যখন অভিযান শেষে আদালতে প্রসিকিউটরের প্রসিকিউশন যায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নিজস্ব স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো. ইয়াছিনুল হক চৌধুরীর নাম। যিনি সিটি কর্পোরেশন এলাকার বাহিরে গিয়ে কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন দায়ের করার এখতিয়ার (ক্ষমতা) রাখেন না।


যদিও এই বিষয়ে মো. ইয়াছিনুল হক চৌধুরী তখন জানিয়েছিলেন, এ ধরনের কোনো প্রসিকিউশন তিনি আদালতে দায়ের করেননি। যেহেতু কর্ণফুলী উপজেলা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত না।


চৌধুরী আরও জানিয়েছিলেন, 'উপজেলায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিয়োগ ও আদেশক্রমে গেজেটভুক্ত হয়ে যে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর দায়িত্ব পালন করেন- তিনিই এ ধরনের অপরাধের বিষয়ে প্রসিকিউশন দায়ের করবেন। ডিসিআর-এ তার নাম থাকবে। এখানে আমার নাম কিভাবে দিয়েছেন আমি জানি না।'


জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ভ্রাম্যমাণ আদালতের নিয়ম অনুসারে ডিসিআর-এ স্থানীয় স্যানিটারি ইন্সপেক্টর বা পুলিশের পরিদর্শক/উপ-পরির্দক সমমর্যাদার কারো নাম থাকে। যেহেতু এটি নিরাপদ খাদ্য সংশ্লিষ্ট আইনের দণ্ডবিধি। তাই স্থানীয় উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টরই প্রসিকিউটর (অভিযোগকারী/বাদী) হবেন। তবে ওই দিনের ডিসিআর-এ প্রসিকিউটর কেন জনৈক মো. ইয়াছিনুল হক চৌধুরী। সে প্রশ্ন এখনো অজানা!


জানতে চাইলে মইজ্জারটেক নূর সুইটস এর মালিক সালাউদ্দিন বিবার্তাকে বলেন, 'স্যানেটারি ইন্সপেক্টর মনোয়ারা বেগম ম্যাজিস্ট্রেট আসলে আগাম খবর দিবেন (হোয়াটস আ্যাপ গ্রুপে) বলে মাসে মাসে সবার কাছ থেকে টাকা নেন। আমরা তার চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। এছাড়াও কোনো দোকানে ৫ জন স্টাফ থাকলে তাদের বাৎসরিক স্বাস্থ্যগত সনদ লাগবে বলে ৭/৮ হাজার টাকা নিয়ে যেতেন তিনি। সব খাবার দোকানদারদের সাথে এ রকম করেছে।'


নূর সুইটস এর মালিক আরও বলেন, 'সে আগে প্রতিমাসে টাকা নিতো- একটা ছেলের মাধ্যমে। কর্ণফুলীতে যতগুলো বেকারি ও মিষ্টির দোকান আছে, বছরের পর বছর সবার থেকে এই রকম টাকা নিচ্ছে। এছাড়াও কাগজপত্র লাইসেন্স ঠিক করার নামেও বড় অংকের টাকা নেন। মাঝে করোনার কারণে ব্যবসা তেমন ভালো ছিল না। তখন কিছুদিন আমরা টাকা দিতে পারিনি। ওই কারণে নূর সুইটসকে দুইবার ম্যাজিস্ট্রেট এনে জরিমানা করাইছে। দুইবারে ৪ লাখ টাকা। এরপর এক লাখ টাকা। এ মাসে আবারো ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে।'


পুরাতন ব্রিজঘাট মিষ্টি মেলার মালিক জানে আলম বিবার্তাকে বলেন, 'স্যানেটারি ইন্সপেক্টর আমার দোকানের স্টাফদের স্বাস্থ্য সনদ লাগবে বলে কয়েকবার টাকা নিয়েছেন। আর খবর নেই।'


এসব চাঁদাবাজির বিষয়ে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মনোয়ারা বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিবার্তাকে বলেন, আমি কোন চাঁদাবাজি করি না। আপনি চাইলে জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোহাম্মদ ফারহান ইসলামের সাথে কথা বলতে পারেন। আর নূর সুইটস এর উপর আল্লাহর গজব পড়বে। সে কী বলতে পারবে তার কাছে কখনো টাকা চাওয়া হয়েছে।'


কর্ণফুলী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এস এম নাওশেদ রিয়াদ বিবার্তাকে বলেন, 'লাইসেন্স চেক করা ওনার কাজ নয়। আপনাদের কাছে যা তথ্য প্রমাণ আছে তা আমাকে হোয়াটসঅ্যাপ করুন। কর্তৃপক্ষ অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে।'


উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা (ইউএনও) মাসুমা জান্নাত বিবার্তাকে বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে মৌখিকভাবে অভিযোগ পেয়েছি। স্যানিটারি ইন্সপেক্টরের অনিয়মের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ বা প্রমাণ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'


জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফারহান ইসলাম চৌধুরী বিবার্তাকে বলেন, 'নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শকের কোন ধরনের অনিয়ম করার সুযোগ নেই। ভুক্তভোগী বা ব্যবসায়ীদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন। আমরা তদন্ত করে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো।’


চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বিবার্তাকে বলেন, 'প্রিমিসেস লাইসেন্সের সরকারি ফি ১শ টাকা। তারমধ্যে চালান ফি ৫০ টাকা ব্যাংকে জমা দিতে হয়। এ বিষয়ে ক্যাশে টাকা নেওয়ার সুযোগ নেই। স্যানেটারি ইন্সপেক্টরের কাজ এসব নয়। এ বিষয়ে আমি খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।'


বিবার্তা/রোমেল/এমজে

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com