‘বস্তুনিষ্ঠ ও পেশাদারিত্বের জায়গা তৈরি করে নিয়েছে বিবার্তা’
প্রকাশ : ০২ আগস্ট ২০২৩, ২০:২২
‘বস্তুনিষ্ঠ ও পেশাদারিত্বের জায়গা তৈরি করে নিয়েছে বিবার্তা’
এস এম রিয়াদ রহমান
প্রিন্ট অ-অ+

কোনো দেশে একটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের এক যুগে পদার্পণ করা অনেক বড় সাফল্য। এক যুগ ধরে টিকে আছে মানে হলো পাঠকের চাহিদা পূরণ করতে পেরেছে এবং গণমাধ্যমটি মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে। বস্তুনিষ্ঠ ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে সাংবাদিকতা নিশ্চিত করে দেশ ও মানুষের কথা তুলে ধরা, গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যমের দায়বদ্ধতা রয়েছে। আর এই দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে বিবার্তা ২৪ ডট নেট এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন বিশিষ্টজনরা।


তারা বলেছেন, পাঠকের চাহিদা পূরণ করা ছাড়া একটি গণমাধ্যমের দীর্ঘযাত্রা সম্ভব নয়। মানুষের ভালোবাসা নিয়ে আরও বহুদূর এগিয়ে যাবে বিবার্তা।


নানান চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ১২ বছরে পদার্পণ করল দেশের অন্যতম পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজপোর্টাল বিবার্তা ২৪ ডট নেট। বর্তমান অবাধ তথ্য-প্রবাহের যুগে অসংখ্য পোর্টালের ভিড়ে নিজের অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে বিবার্তা। দেশকে এগিয়ে নিতে এবং সাধারণ মানুষের কথা তুলে ধরতে সাংবাদিকতার পেশাদারিত্ব বজায় রেখে এক যুগে পা রাখল বিবার্তা।


২০১১ সালের ২ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে উচ্চশিক্ষা নেওয়া বাণী ইয়াসমিন হাসির হাত ধরে যাত্রা শুরু করে বিবার্তা ২৪ ডটনেট। ‘সারাবেলা সব খবর’ স্লোগানে যাত্রা শুরু করা বিবার্তা এরই মধ্যে দেশের অন্যতম অনলাইন নিউজ পোর্টাল হয়ে উঠেছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে এগিয়ে চলেছে সংবাদমাধ্যমটি। বিবার্তার ১২তে পা রাখা উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিশিষ্টজনরা।


বিবার্তার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গণমাধ্যমটিকে ঘিরে প্রত্যাশা জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ বি এম আব্দুল্লাহ্ বলেন, বিবার্তার একযুগে পা রাখায় আমরা সবাই আনন্দিত। বিবার্তা দীর্ঘ সময় ধরে সুন্দরভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন ধরনের খবরা-খরব, অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয়, সাহিত্য সবদিক দিয়েই তারা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচারে তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমি আশা করি ভবিৎষতেও তারা তাদের কাজকর্ম যাতে ভালো হয় সে চেষ্টা চালিয়ে যাবে।


তিনি বলেন, বিবার্তা আমাদের দেশের প্রতিটি স্তরের জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। বিশেষ করে বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি নিয়ে মানুষের মাঝে স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। ভবিৎষতেও বিবার্তা সাহসের সাথে এগিয়ে যাবে। এজন্য আমি আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি, স্বাগত জানাচ্ছি। তারা তাদের কাজকর্ম এভাবেই অব্যাহত রাখুক, সেই কামনা করি।


শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. কায়কোবাদ বলেন, বিবার্তা ১১ বছর পেরিয়ে ১২ বছরে পা দিল। একটি দেশে কোনো গণমাধ্যম এক যুগে পদার্পণ করা অনেক বড় সাফল্য। এক যুগ ধরে টিকে আছে মানে হলো পাঠকের চাহিদা পূরণ করতে পেরেছে। তার মানে বিবার্তা পাঠকের মনে স্থান করে নিয়েছে। তারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জনমানুষের কাছে তুলে ধরেছে। সময়ের সাথে সাথে বিবার্তা সাহসের সাথে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।


তিনি বলেন, বিবার্তা ১১ বছরে যে জায়গায় এসেছে, এ জায়গাটি ধরে রাখা বড় চ্যালেঞ্জ। বিবার্তা তার অবস্থান থেকে গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষতা বজায় রেখে সংবাদ প্রচার করবে। বাংলাদেশের সাথে সাথে বিবার্তা এগিয়ে যাবে সেই আশা করি। বিবার্তা ভবিষ্যতে আরো ভালো করবে। এই শুভক্ষণে বিবার্তা পরিবারের সকলের জন্য শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।


বিবার্তার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রত্যাশা জানতে চাইলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বিশিষ্ট কীটতত্ত্ববিদ ও বিজ্ঞানী ড. কবিরুল বাশার বলেন, বিবার্তার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সম্পাদক, সংবাদকর্মীসহ সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। অবাধ তথ্য-প্রবাহের যুগে অসংখ্য পোর্টালের ভিড়ে এক যুগে পদার্পণ করা সবচেয়ে বড় সাফল্য। বিবার্তা তার বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে দেশ ও জাতির কল্যাণে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।


তিনি বলেন, দেশে মানুষের পক্ষে, দেশের পক্ষে আরো আরও বেশি করে কথা বলুক। আরও বস্তুনিষ্ঠতার সাথে সংবাদ প্রকাশ করুক। বিবার্তা আরও পেশাদারিত্বের সাথে এগিয়ে যাক, এই প্রত্যাশা করি। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা বিবার্তা পরিবারকে।


বিবার্তার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ব্র্যাকের হেড অব মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম শরিফুল হাসান বলেন, যুগপূর্তি উৎসবে বিবার্তার লেখক, পাঠক, শুভাকাঙ্ক্ষী সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। যেকোনো গণমাধ্যম একটি দেশের গণতন্ত্র, সুসাশন এগুলো নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে যত দিন গেছে গণমাধ্যমের গুরুত্বটা তত বুঝা গেছে। একটি প্রতিষ্ঠান একযুগে প্রবেশ করা মানে, মানুষের ভালোবাসা না থাকলে তো টিকে থাকা যায় না।


তিনি বলেন, সাংবাদিকতার মূলনীতিতে গণমাধ্যমের বড় জবাবদিহিতা হচ্ছে মানুষের কাছে। সামনের দীর্ঘ দিনগুলোতে বিশেষ করে নির্বাচনের কারণে এ বছরটি গুরুত্বপূর্ণ, তাই বিবার্তা আরও পেশাদারিত্বের সাথে মানুষের ভালোবাসা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাবে সেই কামনা করি।


বিবার্তা/রিয়াদ/রোমেল/জবা

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com