ঈদেও ভয়ে বাড়ি যায় না ঢাবির অনেক শিক্ষার্থী
প্রকাশ : ২১ এপ্রিল ২০২৩, ১০:১৩
ঈদেও ভয়ে বাড়ি যায় না ঢাবির অনেক শিক্ষার্থী
মহিউদ্দিন রাসেল
প্রিন্ট অ-অ+

ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। ঈদের আনন্দ পরিবারের সাথে ভাগাভাগি করে নিতে যেখানে রাজধানীর মানুষ ছুটছে নাড়ির টানে- বাড়ির পানে, সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এর আবাসিক কিছু শিক্ষার্থী এখনো অবস্থান করছেন হলে। সামনে
কারো ফাইনালসহ গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা, কারো বিসিএসসহ নানা চাকরির পরীক্ষা। আবার কেউ কেউ পাস করে দীর্ঘদিন চাকরি না পেয়ে ক্যারিয়ার নিয়ে হতাশ হয়ে বাড়ি যেতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। ছাত্রীদের ক্ষেত্রে রয়েছে বিয়ের চাপ, ক্যারিয়ার গড়ার নানা চ্যালেঞ্জ। ফলে তাদেরও অনেকে ঈদের ছুটিতে বাড়িতে না গিয়ে হলেই থেকে যান। ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত এসব শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাদেরও মন চায় ঈদে বাড়ি যেতে। কিন্তু নানা বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে তাদের অনেককে ক্যাম্পাসেই ঈদ করতে হচ্ছে।


সরেজমিনে ঢাবি ক্যাম্পাসে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলের মধ্যে প্রতিটি হল থেকে অধিকাংশ শিক্ষার্থী ইতোমধ্যে গ্রামে চলে গেছেন। তবে ঈদের আর মাত্র ১/২ দিন বাকী থাকলেও এখনো প্রতিটি হলে কিছু শিক্ষার্থী অবস্থান করছেন। এরমধ্যে থেকেও কিছু আজ-কালের মধ্যে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করবেন। আর বাকীরা হলে থেকেই পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন।


হল প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রতিটি হলের কিছু শিক্ষার্থী প্রতিবারই ঈদের সময়েও হলে অবস্থান করে। হল ভেদে এর সংখ্যা ভিন্ন হয়। বড় হলগুলোতে একশর উপরেও থাকে আর ছোট হলগুলোতে ৫০-৬০ জন শিক্ষার্থী অবস্থান করে। হলে অবস্থান করা এসব শিক্ষার্থীদের ঈদ উদযাপনের জন্য প্রতিবছরের ধারাবাহিকতায় এবারও ঈদের দিন বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হবে। আর এ লক্ষ্যে এখন প্রতিটি হলের প্রবেশ গেইটে যারা হলে অবস্থান করবেন তাদের নাম লিপিবদ্ধ করা হবে। শিক্ষার্থীরা নিজ হলের নির্দিষ্ট জায়গায় তাদের নাম ও প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ঈদে তাদের হলে অবস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।


ঈদেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসব শিক্ষার্থীদের বাড়ি না যাওয়ার বিষয়ে শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিভিন্ন  জনের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন কারণ রয়েছে। কারো সামনে পরীক্ষা, কারো পাস করে বেকার হয়ে থাকা, আবার কেউ কেউ অর্থনৈতিক সংকটে থাকায় ঈদে বাড়ি যেতে আগ্রহী হন না। মেয়েদের ক্ষেত্রে বিয়ে নিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে চাপ, ক্যারিয়ার গঠনসহ নানা কারণে তাদেরও অনেকের বাড়ি যেতে অনীহা রয়েছে।


এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থী খালেদ হাসান বিবার্তাকে বলেন, মুসলমানদের অন্যতম প্রধান উৎসবের একটি ঈদুল ফিতর। ঈদকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্য দারুণ উন্মাদনা কাজ করে। রমজানের শুরু থেকেই বাড়ি যাওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়। তবে ক্ষেত্রবিশেষে কিছু বিপরীত চিত্রও দেখা যায়। প্রতিবছর হলের অল্পসংখ্যক ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ঈদে বাড়ি না যাওয়ার উদাহরণ পরিলক্ষিত হয়। ঈদে বাড়ি না যাওয়ার কারণ ব্যক্তি বিশেষে ভিন্ন। তবে মোটাদাগে চাকরিপ্রার্থী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাড়ি না যাওয়ার প্রবণতা বেশি। বিসিএস এবং বিজেএস প্রিপারেশন নিচ্ছে এমন শিক্ষার্থীরা পরীক্ষাকে সামনে রেখে ঈদে বাড়ি যাওয়ার আনন্দ ত্যাগ করে। তাছাড়াও শিক্ষার্থীদের পারিবারিক সমস্যা, অর্থনৈতিক সমস্যা ও এলাকায় বিভিন্ন ঝামেলার কারণে অনেকে হলে অবস্থান করে।


মেহেদী হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। এবারের ঈদে তিনি হলে অবস্থান করবেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিবার্তাকে বলেন, দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছি। ভেবেছি, সীমিত সময়ের মধ্যে কোনো একটি ভালো জব হলে পরিবারের হাল ধরব। কিন্তু বিধিবাম! ২০২০ সালে কোভিডের কারণে বন্ধ হয়ে গেল চাকরির পরীক্ষাসহ অনেক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। এরপর দেশে কোভিডের হার কমলে পুনরায় চাকরির পরীক্ষা শুরু হলেও  আগের মতো কিন্তু পরীক্ষা হচ্ছে না। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিও অনেক কমে গেছে।


তিনি বলেন, নানা অনিশ্চয়তার মাঝেও আমাদের চাকরির বয়সসীমা ঠিকই চলে যাচ্ছে। ফলে চাকরিপ্রত্যাশীরা হতাশায় দিনাতিপাত করছেন। শুধু তাই নয়, অনেকে শিক্ষাজীবন শেষ করে আমার মতো এলাকায় যেতে হীনমন্যতায় ভোগেন। এর কারণ, পেশার কথা জিজ্ঞেস করলে কী উত্তর দিবেন? এই জন্য পাস করে বেকার হয়ে থাকা অনেকে ঈদেও বাড়ি যেতে চান না।


২০১৯ সালে মাস্টার্স পাস করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ শেখ। তিনি বর্তমানে স্যার এ এফ রহমান হলে অবস্থান করছেন। তিনি বিবার্তাকে বলেন, ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। আমি নিজেও আবেদন করেছিলাম। কিন্তু ২০২৩ সাল চললেও এখনো এই বিসিএসের ভাইভা চলমান রয়েছে। এরপর রয়েছে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ। তারপরও জনপ্রশাসন থেকে নিয়োগের প্রজ্ঞাপন। সব মিলে কত বছর লেগে যাবে, তা চিন্তা করতেই হতাশ হয়ে পড়ছি।


তিনি বলেন, সরকারি চাকরিগুলোর অধিকাংশের নিয়োগ প্রক্রিয়া একেবারে ধীরগতির। প্রিলি, রিটেন ও ভাইভাসহ চূড়ান্ত ফলাফল পেতে দীর্ঘ সময় লাগে। এদিকে, বেসরকারি চাকরিগুলোও নানা শর্ত বেঁধে দেয়। ফলে সেখানেও নানা ঝামেলা। আর এ বিষয়গুলো চাকরিপ্রার্থীদের ভোগাচ্ছে। ফলে তারা হতাশ হয়ে বাড়ি যেতে চান না।


আবু উসমান নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হলের এক শিক্ষার্থী স্নাতক ও স্নাতকোত্তর রেজাল্টের ভিত্তিতে গোল্ড মেডেল পেয়েছেন মহামান্য রাষ্ট্রপতির হাত থেকে। তিনি বিবার্তাকে বলেন, গত বছর ঈদে বাড়ি গেলে সবাই দেখা হলে জিজ্ঞেস করতো, তুমি তো গোল্ড মেডেল পেয়েছ। এখনো চাকরি পাওনি? আমার বাবা-মার এই বিষয়ে মাথাব্যথা না থাকলেও সমাজের লোকজনের যেন বেশি মাথাব্যথা। এজন্য এবার বাড়ি না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।


তিনি বলেন, প্রতিবছর যে হারে শিক্ষার্থী পাস করে বের হচ্ছেন, তাদের অধিকাংশই চাকরির পেছনে ছুটছেন। ফলে এই সেক্টরে জট লেগে গেছে। বাড়ছে প্রতিযোগিতাও। কখনও কখনও একটি পদের বিপরীতে ১০/২০ হাজার শিক্ষার্থীও আবেদন করছেন। কী করবে শিক্ষার্থীরা? তাদের তো জব দরকার। এদিকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে ধরণের পড়াশোনা করানো হয়, পাস করার পরে সেই শিক্ষা তেমন একটা কাজে আসে না। ফলে চাকরি প্রার্থীদের চাকরির জন্য নতুন করে প্রস্তুতি নিতে হয়। এ কারণে চাকরি পেতে সময়ও লাগছে। আবার অনেকে বছরের পর বছর চেষ্টা করে চাকরি জোগাতে না পেরে হতাশ হয়ে পড়ছেন। ফলে তারা ধর্মীয় উৎসবগুলোতে গ্রামের বাড়িতে যান না লোকলজ্জার ভয়ে।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন নাহার হলের আবাসিক ছাত্রী ইসরাত জাহান আঁখি বিবার্তাকে বলেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে আমি স্নাতক শেষ করেছি। এখন স্নাতকোত্তর চলছে। এদিকে স্নাতক রেজাল্ট দিয়ে ৪৫তম বিসিএসে আবেদন করেছি। সামনের মাসের ১৯ তারিখে বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। তাই একদিকে বিসিএস পরীক্ষা, অন্যদিকে আমার বাড়ি অনেক দূরে হওয়ায় ভোগান্তির বিষয়টি মাথায় রেখে এবার ঈদে বাড়ি না যাওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছি।


তিনি বলেন, ঈদে ছাত্রীদের বাড়ি না যাওয়ার বিষয়ে অনেকগুলো কারণ রয়েছে। তবে সবচেয়ে বড় কারণ হলো বাড়ি গেলে তাদের বিয়ের জন্য চাপ দেওয়া হয়। ক্যারিয়ার না গড়ে অনেকে পরিবারের এই প্রস্তাব মানতে চান না। ফলে ঝামেলা এড়াতে অনেকে হলে থেকে যান। তাছাড়া বাড়ি না যাওয়ার পেছনে পড়াশোনা, পরীক্ষা, ক্যারিয়ারকেন্দ্রিক ব্যস্ততাসহ নানা কারণ থাকতে পারে। অবশ্য হৃদয়ঘটিত কারণেও কেউ কেউ ঈদে হলে থেকে যান, তবে তাদের সংখ্যা খুব একটা বেশি না।


রোকেয়া হলের ছাত্রী মাইমুনা ইসলাম বিবার্তাকে বলেন, নারীরা নিজ পায়ে দাঁড়িয়ে বিয়ে করুক আমাদের সমাজের অনেকে এটা মানতে চান না। আর সমাজের চাপে পড়ে পরিবারও যেন নিজেদের মেয়েকে বিয়ে দিতে পারলে হাফ ছেড়ে বাঁচেন। কিন্তু যে মেয়েটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চ শিক্ষা নেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে, তার তো স্বপ্ন অনেক বড়। ফলে সে নিজেকে গুছিয়ে নিতে চায় অর্থাৎ নিজের পায়ে দাঁড়াতে চায়। কিন্তু বিষয়টি অনেক পরিবার মেনে নিতে চান না। ফলে চাপে পড়ে অনেক ছাত্রী বাড়ি যেতে চায় না।


ঈদে কিছু ছাত্রীদের বাড়ি না যাওয়ার বিষয়ে অবগত করে মন্তব্য জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের আবাসিক শিক্ষক ও  বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রভাষক রহিমা আক্তার মুক্তা বিবার্তাকে বলেন, ঈদে বাড়িতে না যাওয়ার বিষয়ে আমরা ছাত্রীদের সাথে কথা বলেছি। তাদের কারো কারো আগামী মাসের ১৯ তারিখে বিসিএস পরীক্ষা। আবার কারো বাড়ি অনেক দূরে হওয়ায় যাতায়াত ভাড়াসহ ভোগান্তির বিষয়টি মাথায় রেখে তারা হলে ঈদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া ছাত্রীদের ব্যক্তিগত আরও নানা সমস্যায় থাকতে পারে। মোটকথা, পড়াশোনার চাপ, অর্থনৈতিক সংকটসহ নানা কারণে অনেক ছাত্রী ঈদেও বাড়ি যায় না। 


তিনি বলেন, হলে ঈদের দিন সকালে ছাত্রীদের মিষ্টান্নসহ নাস্তার ব্যবস্থা থাকে। এছাড়া দুপুরে পোলাও, রোস্টসহ নানা ডিস দিয়ে খাবার সরবরাহ করা হয়। আমরা হলের আবাসিক শিক্ষকরা ছাত্রীদের পাশে থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করি।


ঈদে ছাত্রদের হলে থাকার বিষয়ে ফজলুল হক মুসলিম হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শাহ্ মো. মাসুম বিবার্তাকে বলেন, ইদানিং আবাসিক হলের অনেক ছেলেদের বাড়ি যাওয়ার টেনডেন্সি একটু কমই দেখি। এক্ষেত্রে তাদের ক্লাস- পরীক্ষা, বিসিএসসহ নানা চাকরির পরীক্ষার কারণে এটা হতে পারে। তাছাড়া অনেকের ক্ষেত্রে বাড়ি যেতে যাতায়াতের ভোগান্তিও চরম মাত্রায় হয়। ফলে তারা ঈদে ভিড় ঠেলে যেতে আগ্রহী হয় না। তবে তাদের অনেকে আবার ঈদের পরে অবসর সময়ে বাড়ি যায়।


রোকেয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা বিবার্তাকে বলেন, প্রতিবছর নানাবিধ কারণে আমাদের কিছু শিক্ষার্থী বাড়ি না গিয়ে হলে অবস্থান করে। ফলে তাদের নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা থাকে। ঈদের দিন তাদের জন্য স্পেশাল খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। সকালে সেমাই, রুটি, হালুয়াসহ নানা খাবার পরিবেশন করা হয়। অর্থাৎ ঈদের দিন সকালে আমরা বাসায় যে ধরণের খাবার আয়োজন করি, এখানেও একই ধরণের আয়োজন করা হয়। মধ্যাহ্নভোজেও পোলাও, কোর্মা, রোস্টসহ আরও নানা ধরণের আয়োজন রয়েছে। এগুলো আমরা সবসময় করে থাকি৷ নতুন কিছু না।


বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির বিবার্তাকে বলেন, যারা বিভিন্ন কারণে বাড়িতে যেতে পারে না, তাদের বিষয়ে আমরা হাউস টিউটরদের মাধ্যমে খোঁজ খবর নিয়ে থাকি। আর ঈদের দিন তাদের জন্য আমরা সকালের নাস্তাসহ দুপুরেও উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করি।


তিনি বলেন, ঈদে বাড়িতে যেতে না পারা অবশ্যই কষ্টের। এক্ষেত্রে যারা যান না তাদেরও ভিন্ন ভিন্ন কারণ রয়েছে। ফলে তারা হলে থেকে যান। তবে এতটুকু আশ্বস্ত করতে পারি- শিক্ষার্থীদের কল্যাণে আমরা অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।


বিবার্তা/রাসেল/রোমেল/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com