পর্যটকে মুখর সাগরতীর, পাঁচ দিনে গড়ে তিন লাখ পর্যটক থাকবে কক্সবাজারে
প্রকাশ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২০:৫৪
পর্যটকে মুখর সাগরতীর, পাঁচ দিনে গড়ে তিন লাখ পর্যটক থাকবে কক্সবাজারে
তাফহীমুল আনাম
প্রিন্ট অ-অ+

সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের নীল লীলাভূমি সাগরকন্যা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি ছাড়াও ১৮ ফেব্রুয়ারি শিবরাত্রীব্রত ও ১৯ ফেব্রুয়ারি শবে মেরাজ এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে কেন্দ্র করে সৈকত পর্যটকে ভরপুর এছাড়া বর্তমানে পর্যটক জোন এলাকায় লাখের অধিক পর্যটক অবস্থান করছেন। 


এই সাপ্তাহিক ছুটিকে কেন্দ্র করে সমুদ্র সৈকতে পর্যটকের ঢল নেমেছে। শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পর্যটকরা আসতে শুরু করে সৈকতে । আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উল্লাসে মেতেছেন। অনেকে সমুদ্রের নোনা জলে গাঁ ভাসাচ্ছেন। অনেকে আবার চেয়ারে বসে উপভোগ করছেন তীরে আছড়ে পড়া সমুদ্রের ঢেউ।


গতকাল শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটিকে ঘিরে কক্সবাজার সৈকতে বিপুলসংখ্যক পর্যটকের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কক্সবাজারে কোনো হোটেল-মোটেল খালি থাকবে না বলে, ধারণা করা হচ্ছে।


ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, এই পাঁচ দিনে গড়ে তিন লাখ পর্যটক থাকবে কক্সবাজারে। ফলে এ পাঁচ দিনে পর্যটন খাতে কম করে হলে ও ২৫০ কোটি টাকার ও বেশির ব্যবসা হতে পারে। দশ লাখ পর্যটক প্রতিজন মাত্র ১২ হাজার টাকা ব্যয় করলেও দিন শেষে পাঁচ দিনে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫০ কোটি টাকা। কোনো কোনো পর্যটক দৈনিক ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ করে থাকেন।


কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত ছাড়া ও ইনানী, হিমছড়ি, পাটোয়ারটেক, সেন্টমার্টিন, রামু বৌদ্ধমন্দির,মহেশখালী আদিনাথ মন্দির, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কসহ পার্শ্ববর্তী পর্যটন স্পটগুলো ঘুরে আসতে মাথা পিছু ৮ -১০ হাজার টাকা খরচ হবে।


অর্থনীতিবিদ প্রফেসার সুকুমার দত্তের দেওয়া তথ্যানুযায়ী পর্যটকেরা এখানে আসেন দু’হাতখুলে খরচ করে দেখতে চায় নৈসর্গিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য  আর চায় নিরাপদ পরিবেশ।


গতকাল বিকেলে কক্সবাজার শহরের ডলফিন মোড়ে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন ঢাকাসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা শত শত পর্যটক। সকাল থেকে হোটেল-মোটেলে চেষ্টা করেও তারা রুম পাননি।


পর্যটক আবির হোসেন বক্কর বিবার্তাকে বলেন, আমি চিটাগাং থেকে কক্সবাজার এসেছি। আসার সময়ও রাস্তায় দীর্ঘ যানজটের কবলে পড়েছি। আবার এখানে এসে দেখছি কোনো হোটেলে রুম নেই। 


ঢাকার উত্তরার ইয়ামিন আক্তার ইতি বিবার্তাকে বলেন, সকালে বাস থেকে সুগন্ধা বীচে নেমেছি। এরপর শাম্পা নামক একটি রেস্তোরাঁয় সকালের নাস্তা করেছি। এরপর রুম খুঁজতে গিয়ে দেখি কোথায়ও রুম খালি নেই। অনেক খোঁজাখুজির পর কলাতলীতে একটি অভিজাত হোটেলে রুম পেয়ে যাই, আমরা ছিলাম ১৬ জন কিন্তু রুম পাওয়া গেল মাত্র ৪ টা।



ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজারের সুপার মো. জিল্লুর রহমান বিবার্তাকে বলেন, বর্তমানে লাখের অধিক বেশি পর্যটক রয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় সৈকতসহ পর্যটন স্পটগুলোয় তাদের সদস্যরা তৎপর রয়েছে।


কলাতলী হোটেল মোটেল জোনের সভাপতি, মুখিম খাঁন বলেন,আমরা মৌসুমের শেষপ্রান্তে চলে এসেছি, এ সময় দেশের সার্বিক পরিস্থিতি ভালো থাকলে সাপ্তাহিক , ঐচ্ছিক ও সরকারী ছুটি না থাকলে ও মোটামুটি পর্যটক থাকে আশানুরূপ। তবে এ বছর এ সময়ে অন্যান্য যে কোন বছরের তুলনায় পর্যটক বেশী।এতে আমরা সন্তোষ্ট। একদিকে সেবা দিতে পারছি অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছে।


কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ বিবার্তাকে বলেন, আমরা ২৪ ঘণ্টা মাঠে আছি। যেখানে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে সেখানে অভিযান চলমান রয়েছে। সব মিলিয়ে পর্যটকদের সর্বোপরি সেবা দিতে প্রস্তুত।


বিবার্তা/তাফহীমুল/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com