শিরোনাম
বিটিআরসিকে আরো এক হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করছে গ্রামীণফোন
প্রকাশ : ১৮ মে ২০২০, ১৯:১২
বিটিআরসিকে আরো এক হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করছে গ্রামীণফোন
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) আরও এক হাজার কোটি টাকা জমা দেবে বেসরকারি মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন।


বিটিআরসি সূত্র জানিয়েছে, আগামীকাল মঙ্গলবার এ টাকা দিতে পারে অপারেটরটি। বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হকের বরাত দিয়ে এই দিন ক্ষণটি নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) মো. জাকির হোসেন খান।


জাকির হোসেন খান বলেন, গ্রামীণফোন বিটিআরসির সঙ্গে যোগাযোগ করে আগামীকাল এ অর্থ পরিশোধ করার কথা জানিয়েছেন। টাকা গ্রহণের জন্য একটি অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা থাকলেও তা বাতিল করা হয়েছে বলে জানান তিনি।


প্যাকেজ অনুমোদন ও সরঞ্জাম আমদানির ক্ষেত্রে বিটিআরসির নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেতে এ টাকা দিচ্ছে গ্রামীণফোন। এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফায় ১ হাজার কোটি টাকা দেয়। ফলে বিটিআরসির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গ্রামীণফোনের মোট পরিশোধ করা অর্থের পরিমাণ দাঁড়াবে দুই হাজার কোটি টাকা, যা আদালত বিটিআরসিকে দিতে গ্রামীণফোনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।


অবশ্য গ্রামীণফোন বলছে, তারা এই টাকা জমা রাখছে। কেননা বিটিআরটির নিরীক্ষা দাবির সঙ্গে তারা একমত নন।


বিটিআরসি গ্রামীণফোনের কাছ নিরীক্ষা দাবি হিসেবে কর ও অন্যান্য খাতে ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা দাবি করছে। আরেক অপারেটর রবির কাছে দাবি করছে ৮৬৭ কোটি টাকা। যদিও নিরীক্ষা দাবি নিয়ে একমত না দুই অপারেটর।


এ টাকা আদায়ে বিটিআরসি কয়েকটি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে দুই অপারেটরই আদালতে যায়। আদালত দুই অপারেটরকেই নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বিটিআরসিকে দেওয়ার নির্দেশ দেন। এর মধ্যে গ্রামীণফোনের দুই হাজার কোটি টাকার দ্বিতীয় কিস্তি ৩১ মে এর মধ্যে দেওয়ার কথা।


গ্রামীণফোন আজ সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, তারা ৩১ মে'র মধ্যে টাকা জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি আরও বলেছে, গ্রামীণফোন বাংলাদেশের আইন ব্যবস্থা ও সুপ্রিম কোর্টের আদেশের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি ভবিষ্যৎ ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া, গ্রাহকসেবার মান উন্নয়ন, ব্যবসায়িক পরিবেশে আস্থা ফিরিয়ে আনা এবং শেয়ারধারীদের স্বার্থ রক্ষায় আদালতের সুরক্ষা প্রত্যাশা করে।


টাকার একটি অংশ জমা দিলেও গ্রামীণফোন ও রবি বিটিআরসির নিরীক্ষা দাবি নিয়ে তাদের দ্বিমত বজায় রাখছে। যেমন গ্রামীণফোন আজও বলেছে, বিটিআরসির অডিট আপত্তি ও পাওনা দাবি একটি বিরোধপূর্ণ বিষয়। একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আদালতের বাইরে অথবা আদালতে গ্রামীণফোন এই বিরোধের নিম্পত্তি করতে আগ্রহী।


গ্রামীণফোনের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গ্রামীণফোন সাম্প্রতিক সময়ে বিটিআরসির সহযোগিতামূলক কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানায় এবং একই সঙ্গে ব্যবসায়িক কর্মকান্ড সম্পূর্ণ স্বাভাবিক করতে বিটিআরসির কাছ থেকে সার্বিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করে।


উল্লেখ্য, আদালতের নির্দেশে প্রথম কিস্তির টাকা জমার পর দুই অপারেটরের ওপর থেকেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে বিটিআরসি।


বিবার্তা/গমেজ/আবদাল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com