শিরোনাম
সীমিত পরিসরে
চালু হলো রাজধানীর বড় দুই কম্পিউটার মার্কেট
প্রকাশ : ১৮ মে ২০২০, ১৪:৪৬
চালু হলো রাজধানীর বড় দুই কম্পিউটার মার্কেট
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

মরণঘাতী করোনাভাইরাসের আঘাতে দেশের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার খাত প্রায় বন্ধের পথে। করোনার মহা দুর্যোগকালীন এই পরিস্থিতিতে অবরুদ্ধ বিশ্বে যোগাযোগ, লেনদেন, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, খাদ্য, শিক্ষা, গণমাধ্যমসহ সব জায়গাতেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের।


তাই ডিজিটাল বাংলাদেশ সক্রিয় রাখতে নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়েও স্বাস্থ্য অধিদফতর ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে চালু করা হয়েছে রাজধানীর বড় দুই কম্পিউটার মার্কেট।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের বড় দুই কম্পিউটার মার্কেট রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিসিএস কম্পিউটার সিটি ও এলিফ্যান্ট রোডের মাল্টিপ্ল্যান কম্পিউটার সিটি সেন্টার চালুর ক্ষেত্রে বেশ কিছু স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। দুটি মার্কেটের প্রবেশ মুখে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, থার্মাল স্ক্যানার থাকছে।


অন্যদিকে মার্কেটে ঢুকতে ক্রেতাদেরও মানতে হবে কিছু নিয়ম। ক্রেতাদের মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়া একসঙ্গে বেশি ক্রেতা মার্কেটে প্রবেশ করতে পারবেন না।


দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সচল রাখতে বিশেষ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস)।


দেশের প্রায় ১০ লাখ লোক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সাথে জড়িত। শুধু তথ্যপ্রযুক্তি হার্ডওয়্যার সেক্টর থেকে বছরে এক হাজার ৫০০ কোটি টাকার রাজস্ব সরকারের কোষাগারে জমা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রাজধানীর কম্পিউটার হার্ডওয়্যার বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস)-এর সভাপতি মো. শাহিদ-উল-মুনীর।


মহামারী করোনার এই দুর্যোগকালে তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে সচল করতে বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা জানান বিসিএস’র এই সভাপতি। তিনি জানান, বিসিএস প্রযুক্তি ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষার্থে জোরদার ভূমিকা রাখতে আমরা বদ্ধ পরিকর। আমরা নিয়মিতভাবে সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। বিসিএসর সদস্যদের জন্য একটি হেল্প লাইনের ব্যবস্থা করেছি যার মাধ্যমে সদস্যদের মধ্যে যদি কেউ বেতন দিতে না পারে বা তাদের কর্মচারীদের যদি খাদ্যের সমস্যা হয় তারা যোগাযোগ করতে পারবেন। এছাড়াও সকল সদস্যরা যাতে সহজ শর্তে সরকারি ও ব্যাংক থেকে লোন পেতে পারেন তার জন্য চেষ্টা করছি। সম্মানিত পরিচালকবৃন্দ তাদের মূল্যবান সময় ব্যয় করে এই সেক্টরের সোনালী দিন ফিরিয়ে আনতে মেধা এবং শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে সভাপতিসহ পুরো কার্যনির্বাহী কমিটি একাধিকবার সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সাথে বর্তমান পরিস্থিতিতে করণীয় বিষয়ে একাধিক বৈঠক করেছেন।


বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) যুগ্ম সম্পাদক মুজাহিদ আল-বেরুনি সুজন জানান, তথ্যপ্রযুক্তি খাত জরুরি সেবা দিতে সরকারি নির্দেশনা মেনে আমরা মার্কেট চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তথ্যপ্রযুক্তিও এখন জরুরি পণ্য। টেলকো, ইন্টারনেট ও সরকারিসেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সেবা দিতেও প্রয়োজন হচ্ছে প্রযুক্তি পণ্য।


তিনি বিসিএস’র পক্ষ থেকে সবাইকে সাবধানতা অবলম্বন করে মার্কেটে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনি (ক্রেতা) নিরাপদ থাকুন, আমাদেরও নিরাপদ থাকতে সহায়তা করুন।


উল্লেখ্য, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি করোনা পরিস্থিতিতে সদস্যদের ব্যবসায়িক অবস্থার অবনতি নিরসনে সর্বদা কাজ করে যাচ্ছে। সদস্যদের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে অনুদানের পাশাপাশি সহজ শর্তে পাঁচ বছর মেয়াদী দুই শতাংশ সুদে জামানতবিহীন ঋণ চেয়েছে সংগঠনটি। এই খাতের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো সচল ও সেবা বজায় রাখতে রাখতে তাই বাংলাদেশ সরকারের কাছে ১৯৩০ কোটি টাকা অনুদান চেয়েছে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস)।


বিবার্তা/গমেজ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com